আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: গলসির পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এবার হাসপাতালের বিএমওএইচ আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত অধিকাংশ কর্মচারীরা। কয়েক দিন আগেই হাসপাতালে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করতে এদিন হাসপাতালে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমরম। সুত্রের খবর, দ্বাররুদ্ধ বৈঠকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ সময় কর্মচারীরা এক সুরে জানাই, এই বিএমওএইচ থাকলে তারা কাল থেকে কাজে আসবেন না। এর পরই সবাই এক রকম চুপ হয়ে যান। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক।
হাসপাতালের এক স্থায়ী কর্মী জানান, কয়েকদিন আগেই তারা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যেখানে একপ্রকার সবাই স্বাক্ষর করেছেন। এরপর থেকেই হাসপাতালে অচলাবস্থা হবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে স্টাফদের এক অংশ। উল্লেখ্য, কয়েক মাস ধরেই হাসপাতালের পরিসেবা নিয়ে বিএমওএইচ ডাক্তার পায়েল বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এলাকার শতশত মানুষ। সেই দাবীরও মুল্য দিতে এলাকাবাসীদের সাথে একপ্রস্থ আলোচনা করেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি তাদের কাছে হাসপাতালে পরিসেবা মুলক বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেম্ররম জানান, স্টাফদের লিখিত অভিযোগ পেয়ে তিনি এখানে এসেছেন। গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা করেছেন। তিনি সব তথ্য উদ্বোতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। সেখান থেকে নির্দেশ আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
এলাকাবাসীদের প্রতিনিধি ফিরোজ আহম্মদ, নাজমুল জামাদাররা জানান, তারা বিএমওএইচ এর অপসারণের জন্য পূর্বেই অভিযোগ জানিয়েছেন। এদিন থেকে তারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করতে উদ্দ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুরোধ আসায় তারা তা স্থগিত রেখেছেন। তাছাড়াও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক তাদের একমাস অপেক্ষা করতে বলেছেন। তবে তারা পনেরো দিনের মধ্যে ওনার বদলির দাবী রেখেছেন। না হলে গনতান্ত্রিক প্রদ্ধতিতে তারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করবেন।
এদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে বিএমওএইচ পায়েল বিশ্বাস জানিয়েছেন, আমি সব জানিয়েছি সিএমওএইচ স্যারকে। তিনি সব জানেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct