সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: সুন্দরবনের বৃহত্তম ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল।উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার রোগীরা আসেন চিকিৎসা পরিষেবা নিতে। এমনকি সুন্দরবনের মানুষের সুবিধার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্পে তৈরী ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ২৫১ বেডের মাতৃমা চালু হয়েছে। যেখানে মা ও শিশুরা চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন।সেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের অন্ত নেই।এবার সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানীর শিকার না হয় এবং সঠিক পরিষেবা পেতে পারে তার জন্য শুক্রবার জরুরী বৈঠক করলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের স্নেকবাই ট্রেনিং হলে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং ১ বিডিও নরোত্তম বিশ্বাস,ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার পার্থপ্রতিম কয়াল,সহকারী সুপার বসুমিতা আঢ্যি,ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম দাস,জেলা পরিষদ সদস্য সুশীল সরদার সহ ক্যানিং ১ ব্লকের ১০ টি পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান এবং ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও নার্স।
অভিযোগ,রাতে হাসপাতাল সুপার কিংবা অতিরিক্ত সুপার থাকেন না,ফলে সমস্যায় পড়তে হয় রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনদের কে। আবার পুরাতন হাসপাতাল থেকে মাতৃমা হাসপাতালের একমাত্র যাতায়াতের রাস্তায় কোন আলো নেই,নোংরা আবর্জনায় ভরপুর,সাপের উপদ্রব,চলাচলের অযোগ্য। যে কোন মুহূর্তে বিপদ ঘটে যেতে পারে।হাসপাতালের চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা ইচ্ছামতো ডিউটি করেন।জন্ম কিংবা মৃত্যুর ক্ষেত্রে ’শংসাপত্র পেতে হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীদের। রাতে ইসিজি বন্ধ থাকে। ঔষধের যোগান কম।রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়।ভালো মানের ট্রলি নেই।জরুরী বিভাগের সামনে কোন ছাউনি নেই।বৃষ্টিতে ভিজতে হয়।ওপিডি তে বসার জায়গা নেই। নেই আলো কিংবা পাখা।সৌচালয় নেই। একেবারেই অস্বাস্থ্যকর এমন সব অভাব অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ প্রায় আড়াই ঘন্টা যাবত বৈঠক চলে। বৈঠক সমাধান সুত্র বের করতে বলা হয়।পাশাপাশি হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা যাতে ভালো হয় সেদিকে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের কে মনোনিবেশ করার অনুরোধ করেন বিধায়ক।এমনকি হাসপাতালের সমস্ত ধরণের কর্মীরা যাতে সঠিক সময়ে আসা-যাওয়া করেন তারজন্য বায়ো মেট্রিক যন্ত্র বসানোর আবেদন করেন।
বৈঠক শেষে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, ‘মহকুমা হাসপাতালের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। আগামী ১৩ আগষ্টের মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। যদি দেখা যায় সব ঠিকঠাক রয়েছে তাহলে ভালো। নচেৎ সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্ত ঘটনা জানাতে বাধ্য থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct