মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: পূর্ব বর্ধমানের বেশিরভাগ মানুষ চাষের উপর নির্ভরশীল । অনাবৃষ্টিতে বর্ষার মরশুমে চাষিরা বীজ তলা তৈরি করতে পারেনি। এবং বীজ রোপন ও করতে পারেনি। মানুষ আশাই ছিল দেরিতে বর্ষা শুরু হলেও তারা বিজ তলা তৈরি করবে এবং বীজ রোপন করবে ।অনেক ক্ষেত্রে সাবমারসিবল এর মাধ্যমে বীজতলা তৈরি করেছিল চাষীরা। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের কালনা ,কাটোয়া ,রায়না খণ্ডঘোষ, মাধব ডিহি,গলসি, জামালপুর, গুসকরা , কেতুগ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি জলে ডুবে গেছে। এর ফলে আমন মরশুমের ফসল তৈরি করতে ধান উৎপন্ন করতে চাষীদের বেগ পেতে হবে। বহু জায়গায় বীজ জলের তলায় ডুবে নষ্ট হতে বসেছে এবং যেসব চাষিরা শ্যালো ও সাবমারসিবল এর মাধ্যমে বীজ বপন করেছিলেন, রোয়া হয়েছিল সেই সব জায়গাগুলি সম্পূর্ণরূপে ডুবে গেছে। এতে বীজের সম্পূর্ণরূপে ক্ষতি হতে পারে পচে যেতে পারে ধান চারা গুলি। গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় জলমগ্ন হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষও খুব সমস্যায় আছে। গরু ছাগল হাঁস মুরগি সহ যারা পশু পালন করে গ্রামের দিকে তারাও খুব সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে ডি ভি সি অতিরিক্ত জল ছাড়াই দামোদর নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার ও আশঙ্কা আছে । যে ক্যানেল গুলি থেকে চাষিরা আশা করছিল অনাবৃষ্টির সময় জল পেয়ে তারা বীজ বপন করতে পারবে সেই সময় তারা জল পায়নি কিন্তু যে সময় অতিরিক্ত বৃষ্টিতে গোটা পূর্ব বর্ধমান ভেসে যেতে চলেছে সেই সময় ক্যানেলের অতিরিক্ত জল ছাড়াই ও দামোদরে অতিরিক্ত জল আসার ফলে আতঙ্কগ্রস্ত পূর্ব বর্ধমানের চাষী থেকে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় মানুষ কামনা করছে কত তাড়াতাড়ি বৃষ্টি কমবে ও জল তাড়াতাড়ি নামবে। যদিও প্রশাসন তৎপর আছে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। ত্রিপল ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct