সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: ওঝা-গুণিনের দাপটে এক মহিলার মৃত্যু হল মৃতের নাম সাহিদা সেখ(৬৪)। মৃতের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানার ১ নম্বর মেরীগঞ্জ এলাকায়। ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহ টি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহষ্পতিবার প্রবল বর্ষনে ওই মহিলার পুকুরে জল থই থই করতে থাকে। দুপুর দুটো নাগাদ জলপথের পাইপ লাইন পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন পুকুরপাড়ে। পাইপের মধ্যে হাত দিতেই তার ডান হাতে একটি বিষধর কেউটে সাপ কামড় দেয়। তিনি তড়িঘড়ি বাড়িতে ফিরে আসেন। পরিবারের লোকজনদের ঘটনার কথা জানায়। পরিবারের লোকজন ওই বধূকে উদ্ধার করে স্থানীয় ‘ফকির’ নামে এক ওঝা-গুণিনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তুকতাক,ঝাড়ফুঁক।দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় ওই বধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।বেগতিক বুঝে গুণিন ফকির ওই বধূকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরিবারের লোকজন বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ছটা নাগাদ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই বধূকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। মৃত বধূর ছেলে আমিনউদ্দিন সেখ জানান, ‘কি সাপ কামড় দিয়েছে আমরা জানতাম না। স্থানীয় ওঝা ফকিরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ঝাঁড়ফুঁক করেছিল। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।’ ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, ‘সাপের কামড় তারপর ওঝা গুণিন। পরিশেষে মৃত্যু!এটা খুবই দুঃখজনক।সাধারণ মানুষকে বলবো,সাপে কামড় দিলে নিকটবর্তী সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন যত দ্রুত সম্ভব। তাহলে মৃত্যু থেকে অব্যাহতি মিলবে। নচেৎ ওঝা-গুণিনের দ্বারস্থ হলে মৃত্যু নিশ্চিত।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct