আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: গলসিতে বেশকিছু চাষির জমিতে চাষ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যাতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের। অভিযোগ, বিগত বাম জামানায় কমবেশি ২০ বিঘা জমি খাস বলে চাষিদের বিতরণ করেছিল তৎকালীন বাম সরকারের স্থানীয় নেতৃত্ব। সেই জমি চার পাঁচ কাঠা করে ভাগ পেয়েছিলেন গলসি ১ নম্বর ব্লকের রাইপুর ও আটপাড়া গ্রামের বেশকিছু গরীব চাষি। কমবেশি চল্লিশ বছর ধরে তারা ওই জমি চাষ করছেন বলে দাবী করেন। এখন আচমকা তৃণমূল তাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন।
মুক্ত হাজরা নামে এক চাষি বলেন, চল্লিশ বছর চাষ করেছি। সিপিএম আমাকে জমি দিয়েছিল। এখন আমার জমি চাষ দিয়ে ধান রোপন করে দিয়েছে জমির মালিকের ছেলেরা। কাগজ নেই কি করবো বুঝতে পারছি না। এদিকে চাষি রকেট সেখ, দেলোয়ার মন্ডল জানান, শিড়রাই, ধর্মপুর, পোতনা ও লোয়া মৌজায় উজিরন বিবি ও ফুলঝড়ি বিবির বেশ কিছু জমি খাস বলেই তাদের দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো তারা আল দিয়ে পৃথক পৃথক ভাবে চাষ করছিলেন। এখন সেই জমির আল ভেঁঙে চাষ শুরু করেছেন উজিরন বিবি ও ফুলঝুড়ি বিবির ওয়ারিশনরা। তারা বিডিও ও বিএলআরও অফিসের দারস্ত হয়েছেন। তবে সেখান থেকে এখনও কোন সদুত্তর পাননি।
জমির উত্তরসুরী সেখ রনি, আসাদুল মন্ডলরা জানান, ওই জমি খাস করা হয়নি বরং জোরপূর্বক ধান কেটে দখল করা হয়ছিল ততকালীন বাম জামানায়। তারা জানান, সিলিং এর বাইরে নয় বলে জমি খাস হয়নি। ১৯৯৫ সাল থেকে কোটের কপি সহ বর্তমান রেকর্ড তাদের নামেই আছে। তাই তারা চাষ শুরু করেছেন। তারা আরও জানান, চাষিরা কাগজ বা খাসের যেকোন তথ্য দেখালে তারা স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে দেবেন।
এদিকে গলসি ১ নং ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তথা জমির উত্তরসূরী সেখ কুতুবউদ্দিন বলেন, এখানে তৃণমূলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। যারা বলছে তারা ভুল বলছে। আমাদের জমির কাগজ আছে তাই আমরা জমিতে নেমেছি। ওদের কাগজ থাকলে দেখাক আমরা জমি ছেড়ে দেবো।
বিষয়টি নিয়ে গলসি ১ নং ব্লক বিডিও জয়প্রকাশ মন্ডল জানিয়েছেন, মানুষের সমস্যা হলে অবশ্যই দেখতে হবে। আমি বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি ও যাতে সমস্যার সমাধান হয় তার চেষ্টা করছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct