সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: লম্বায় সাড়ে তিন ফুট!ওজন প্রায় ২ কেজি! বিশাল আকৃতির তীক্ষ্ণ বিষধর সাপ চন্দ্রবোড়ার কামড়ে আক্রান্ত হয়ে সাপ ধরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটলেন এক ব্যক্তি।বিশাল আকৃতির সাপ নিয়ে হাসপাতালে ঢুকতেই হইচই পড়ে যায় হাসপাতালের রোগী,রোগীর পরিবার ও চিকিৎসক মহলে।যদিও বিশাল আকৃতির চন্দ্রবোড়া সাপ টি গুরুতর জখম হওয়ায় দু-মিনিটের মধ্যে মারা যায়।
শুরু হয় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা। তাকে হাসপাতালের তরফে সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক এভিএস ৩০ ভায়াল তড়িঘড়ি দেওয়া হয়।বর্তমানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চিকিৎসা চালাচ্ছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত সুভাষগ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা শঙ্কর দে।সকলের অলক্ষ্যে শঙ্কর বাবুর বাড়িতে দুকেজি ওজনের একটি সাড়ে তিন ফুট লম্বা তীক্ষ্ণ বিষধর সাপ ঢুকে পড়েছিল।ঘরের মধ্যে জমা করে রাখা কাপড়ের মধ্যে ঘাপটি মেরে আশ্রয় নিয়েছিল।বুধবার সকালে বাড়িতে ঘর-বারান্দা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন শঙ্কর।সেই সময় আচমকা বিশালাকৃতির চন্দ্রবোড়া সাপ তার বাম হাতের আঙুলে কামড় দেয়।সাপটি ধরার চেষ্টা করেন।ধরতে পারলেও পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মুহূর্তে এক আছাড় মারে। গুরুতর জখম হয় সাপটি।এরপর যাতে বিষ বেরিয়ে যায় তারজন্য ব্লেড দিয়ে শঙ্কর তার ক্ষতস্থান কেটে রক্ত বের করতে থাকে।হাতের শিরা কেটে যাওয়ায় রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।সাপটি একটি বস্তার মধ্যে ধরে সোজা রওনা দেয় সুভাষগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করলে,সাপ সহ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজীর হয় ওই ব্যক্তি।বিশালাকৃতির সাপ দেখে হূলস্থুল পড়ে যায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মৃন্ময় বিশ্বাস তড়িঘড়ি ওই ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু করেন। অন্যদিকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় আক্রান্তকে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে অভয় বার্তা দেন।
শঙ্কর জানিয়েছে, ‘সাপ কামড় দেওয়ার পর,ধরতে গিয়েছিলাম। জানতাম সাপ ধরে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ভালো চিকিৎসা হয়। মেরে ফেলার ইচ্ছা ছিল না।বাগে আনতে পারছিলাম না।লেজ ধরে পেরে আছাড় মারি। জখম হয়। পরে ব্লেড দিয়ে নিজের হাতের ক্ষতস্থান কেটে থেকে বেশকিছু রক্ত বের করে দিই। তারপর সোজা হাসপাতালে আসি চিকিৎসার জন্য। পরে সাপটি মারা যায় এবং বুঝতে পারলাম ক্ষতস্থান কাটা ঠিক হয়নি।’ ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ রায় জানিয়েছেন, ‘বিশালাকৃতির চন্দ্রবোড়া সাপ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন আক্রান্ত এক ব্যক্তি। তড়িঘড়ি আসায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে সুবিধা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct