নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: বর্ষা এলেই চিন্তা বাড়ায় বাঁশের সেতু। স্কুল, হাসপাতাল সহ নানা কাজের জন্য সাঁকো দিয়েই নিত্য যাতায়াত প্রায় তিন হাজার গ্রামবাসীর। তবে বর্ষা এলেই সাঁকো নিয়ে দুর্ভোগ বাড়ে। সাকো ভেঙে পড়ে নদীতে। এবছরও তার ব্যতিক্রমী হয়নি। মাঝ বরাবর হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়েছে এই বাঁশের সেতু। ফলে একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মালদাহের কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রামের মানুষদের। তবে বাঁশের সেতু ভেঙে পড়ায় সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাণ ঝুঁকি জেনেও ভরা বর্ষায় ভাগিরথী নদী দিয়ে নৌকা করে যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা। প্রয়োজনীয় কাজে গ্রামবাসীরা নৌকা করে পারাপার করলেও ছোট ছোট পড়ুয়ারা, নৌকা করে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছেন। গ্রামবাসীরা জানান, ওইপারে রয়েছে বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বালুয়াচড়া হাই স্কুল। ফলে হাসপাতাল কিংবা স্কুলে যেতে হলে তারা এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতেন। এছাড়াও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজেও এই সেতু দিয়ে তাদের যেতে হয়। তাই ভাগীরথী নদীর উপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি প্রায় কুড়ি থেকে ত্রিশ বছরের। ভোট আসলে প্রতিশ্রুতি মিলে। কিন্তু বাঁশের সেতু এখনো পাকা হয়নি । গত ১০ থেকে ১২ দিন হল এই বাঁশের সেতু ভেঙে পড়েছে । ফলে সমস্যায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েত থেকে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা দিয়েই আপাতত যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসুন নেহার, জানান সেতু নির্মাণ করার জন্য বরাদ্দ টাকা পঞ্চায়েতে নেই। সংশ্লিষ্ট বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়াই আপাতত পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ওই এলাকায় পাকা সেতুর দাবি দীর্ঘ কয়েক বছরের।তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা আছেন। এরা জনসাধারণের কোন কাজ করে না। ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় । কিন্তু ভোট শেষ হলে কাজ করে না। কটাক্ষ বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুরির।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct