জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: হাত ভেঙ্গে কুড়ি দিন ধরে ভর্তি হাসপাতালে ,কুড়ি দিন পরেও হলো না অপারেশন , এমনই অভিযোগ হুগলী চুঁচুড়া সদর ইমামবাড়া হাসপাতালের বিরুদ্ধে, হুগলির বলাগড়ের পাঁচপাড়ার বাসিন্দা জাহানারা বিবি আজ থেকে কুড়ি দিন আগে পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙে যায়, চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে এলে বলা হয় প্লাস্টার করলে হবে না ‘তার হাতে প্লেট বসাতে হবে, রীতিমতো স্বামী মঈনুদ্দিন ও তার ছেলে চুঁচুড়া হাসপাতালের ১১ নম্বর ঘরে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা করেন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড জমা হতেই সেখান থেকে টাকা কেটে তাদেরকে একটি কাগজ ধরিয়ে বলা হয় ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকান থেকে সেই জিনিসগুলোই আনতে। রীতিমতো তড়িঘড়ি মইনুদ্দিন সেখানে যাবার পর তাকে বেশ কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখে বলা হয় এই জিনিসগুলি পাওয়া যাবে না দুদিন পরে আসতে, মইনুদ্দিন এর কথা অনুযায়ী সেখান থেকে তিনি সোজা চলে আসেন হাসপাতাল সুপার এর কাছে, হাসপাতাল সুপার জানান যেহেতু এই সমস্ত জিনিস এখন পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে নিন, বেশ কয়েকদিন অপেক্ষা করার পর আবারো সেই একই কথা শুনতে হয় তাদের, আজ সকাল বেলা হাত ভাঙ্গা রোগীর কেন চিকিৎসা হচ্ছে না জানতে কলকাতা মিররের টিম পৌঁছায় চুঁচুড়া হাসপাতালে, সেখানে গিয়ে ন্যায্য মূল্যের ঔষধের দোকানে কথা বলতেই চক্ষু চরক গাছ হয়ে যায়, ন্যায্য মূল্যের দোকানের ইনচার্জ জানিয়ে দেন আজ থেকে দেড় মাস আগেই হাসপাতালে সাথে আমাদের ক্রেডিট কন্ট্রাক্ট শেষ হয়ে গেছে, তাই আমরা হাসপাতালের ক্রেডিটে কোন জিনিস দিতে পারবো না , তাকে যখন প্রশ্ন করা হয় ক্রেডিট কন্টাক্ট শেষ হয়ে গেছে সেটা কি হাসপাতাল জানে, তিনি জানান অবশ্যই জানেন হাসপাতাল জানে এবং স্বাস্থ্য দপ্তরও জানে,
এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছি একটাই যদি হাসপাতাল জানে ঔষধের দোকানও জানে যে এইসব জিনিস দেওয়া যাবে না, তাহলে কেন কুড়ি দিন ধরে স্বাস্থ্য সাথী টাকা কেটে নিয়ে তাদেরকে ঘোরানো হচ্ছে, কেন জাহানারা বিবির মত মানুষ হাত ভাঙ্গা নিয়ে কুড়ি দিন বিনা চিকিৎসায় ঘুরে বেড়াবে হাসপাতালের এদিক ওদিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্য সাথী আর সেই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দেখা যাচ্ছেন নড়বড়ে ব্যাবস্থা, যদি জানাই ছিল এই জিনিসগুলো ক্রেডিটে দেওয়া যাবে না বা স্বাস্থ্য সাথী তে চিকিৎসা হবে না, তাহলে কেনই বা তাকে কুড়ি দিন ধরে এইভাবে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে রাখা হলো, যদিও এ প্রশ্নের উত্তর দিতে একদমই নারাজ জেলা স্বাস্থ্য অধিকারীক, তিনি বলেন আমি অবশ্যই তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করব আগে, অবশ্য তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের নিয়মটা তাহলে কি তিনি বলেন এ বিষয়ে আমার জানা নেই, তিনি হয়তো ভুলে গেছেন তিনি জেলা স্বাস্থ্যর মুখ্য আধিকারিক, তিনি বলছেন তিনি স্বাস্থ্য সাথী বিষয়ে কিছু জানেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct