নিজস্ব প্রতিবেদক, মেদিনীপুর, আপনজন: সোমবার বিকেলে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে ঘাটালে এসে আরো একবার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আশ্বাস দিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। দেব বললেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই। ১২ ই আগস্ট এর মধ্যেই ঘাটালে আসছেন রাজ্যের সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ও আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে এই সপ্তাহে দিল্লি গিয়ে পাঁশকুড়া ঘাটাল রেলপথ নিয়েও সরব হব। যদিও সম্প্রতি কেন্দ্রের বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এর কোন বরাদ্দ না থাকা নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন তিনি। সোমবার দুপুরের পর একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঘুরলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে বেশ কিছু কর্মসূচি সেরে বিকেলে হাজির হয়েছিলেন ঘাটালে। বিকেল নাগাদ প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ও ঘাটালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সারেন তিনি। কারণ নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যত ভোট পাব তত বৃক্ষরোপণ করা হবে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘাটাল লোকসভা জুড়ে অব্যাহত রয়েছে। সোমবারও সেই বৃক্ষরোপন করেছেন তিনি। সন্ধ্যায় ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান তথা জন্ম ভিটেতে গিয়ে বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।শেষে সন্ধ্যার পর ঘাটালের মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন ঘাটালের সংসদ তথা অভিনেতা দেব। প্রশাসনিক বৈঠকে দেব ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আশীষ হুদাইত, দাসপুরের বিধায়িকা মমতা ভূঁইয়া, দাসপুর ১, ২, ঘাটাল ও চন্দ্রকোনা ১, ২ নম্বর ব্লকের বিডিও, পাঁচটি ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা। বৈঠকে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি হলে কি ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এলাকার বিভিন্ন সমস্যাগুলি নিয়ে বর্তমান কি পরিস্থিতি সব নিয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
সর্বাগ্রে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ইসুতে তিনি বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই। এটা আমার প্রথম প্রায়োরিটি। ইতিমধ্যেই শেষ দপ্তর ও মন্ত্রীদের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ তারা করে নিয়েছেন। আগামী ১০ থেকে ১২ আগস্ট এর মধ্যে রাজ্যের শেষ দপ্তরের আধিকারিক ও মন্ত্রীরা ঘাটালে আসবেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পদক্ষেপ শুরু হবে।
একইসঙ্গে ঘাটাল পাঁশকুড়া রেলপথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দিদি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন পাঁশকুড়া ভায়া ঘাটাল হয়ে আরামবাগ পর্যন্ত রেল লাইনের প্রস্তাব পাস হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ আজও হয়নি। চলতি সপ্তাহে আমি দিল্লি যাচ্ছি পুনরায়। এই বিষয়ে আলোচনা করব। দ্রুত যাতে পদক্ষেপ হয় তা নিয়ে চেষ্টা শুরু হবে। সম্প্রতি হওয়া কেন্দ্রের বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের উল্লেখ না থাকা প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কোন বরাদ্দ হয়নি। এদের এই মানসিকতার কারণেই মানুষ ভোটে বিজেপি বা কেন্দ্রের নেতাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct