জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: সোমবার চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শনে এসে ক্ষোভ উগরে দিলেন হুগলির নব নির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে সুপার অমিতাভ মণ্ডলকে রীতিমত একহাত নেন তিনি।
প্রকাশ্যেই সুপারকে বলেন, আমার আগে কে ছিল বলতে পারব না, তবে এখন আমি রচনা ব্যানার্জি এসেছি। হাসপাতালে এত অপরিচ্ছন্ন থাকবে কেন! মায়েরা শিশুরা নোংরার পাশে শুয়ে রয়েছে এটা হতে পারে না! আমি চাই হাসপাতাল ঝাঁ চকচকে হোক। সোমবার সকালে হুগলি জেলাশাসক দপ্তরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর দুটো নাগাদ তিনি চুঁচুড়ায় হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর দপ্তরে গিয়ে জেলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা সংক্রান্ত খোঁজখবর নেন। সেখান থেকে বেরিয়েই হঠাৎ তিনি ঢুকে পড়েন চুঁচুড়ার ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে। ঢুকতে ঢুকতেই মোবাইল হাতে হাসপাতালের অপরিচ্ছন্নতা ক্যামেরাবন্দি করেন। কয়েকজন রোগীর পরিবারের সাথে কথাও বলেন তিনি। হাসপাতালে চলতে চলতেই দেওয়ালের কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কফ, পানের পিক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। প্রসূতি বিভাগ, ব্লাড ব্যাঙ্ক প্রভৃতি ঘুরে দেখেন। এরপরেই অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে রচনা সুপারকে কড়া বার্তা দেন। যদিও রচনার মন্তব্য নিয়ে কিছু বলতে চাননি সুপার অমিতাভ মন্ডল। তবে, তিনি বলেন, সরকারি সীমাবদ্ধতায় যেটুকু পরিষেবা পাওয়া যায় সেটুকুই দেওয়ার চেষ্টা করি। অন্যদিকে, রচনার হাসপাতাল পরিদর্শনকে স্বাগত এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিকঠাক পেলেই আমি খুশি।
অভিনেত্রী সাংসদকে হাতের কাছে পেয়ে এ দিন অনেকেই ছবি তুলতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কমবেশি সকলের আবদার মেটান রচনা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct