সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: এটা একটা অসভ্য বর্বর মূর্খ দল। এরা মন কি বাত বলে,কিন্তু ভারতবাসীর মন কি বাত শোনার ধৈর্য নেই। একটা স্বৈরতন্ত্রের সরকার। যার এখন দুটো স্ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটছে । একটা নীতিশ কুমার একটা চন্দ্রবাবু নাইডু। সোমবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রয়াণ দিবসে যোগ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন,মুখ্যমন্ত্রীকে পাঁচ মিনিট বাদে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ বাংলার মানুষের কন্ঠ রোধ করা। বাংলায় বিজেপি বারবার ধাক্কা খেয়েছে। এবারও শেষ হয়ে যাচ্ছিল। ইসবার ২০০ পার ; হয়ে গেছে পগার পার।
তাদের মনের মধ্যে যে অন্যায় বোধ.. বাংলাকে বঞ্চনার; বাংলা আবাসের টাকা আটকানোর; গরিব মানুষের ১০০ দিনের টাকা আটকানোর আবাসের টাকা আটকানো।
তারা এসব শুনে লজ্জিত হবে, তাই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেয়নি। আমরা বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিজেপির বাংলা ভাগ চায়।
বঙ্গভঙ্গ করে দিয়ে যে অন্যায় বিজেপি করছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। ফিরহাদ আরো বলেন, তোকে বাংলার মানুষ দিচ্ছে না ভোট। তোদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বাংলার মানুষ না বলে দিয়েছে। সেখানে বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করা, কন্ঠরোধ করে দেবে মুখ্যমন্ত্রীর? ক্ষমতা আছে?
বাংলার মানুষ গর্জে উঠেছে বিজেপি হুশিয়ার বলে সতর্ক করেন ফিরহাদ।
অন্যদিকে, নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির মাইক বন্ধ করার অভিযোগ নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বিশেষ নিন্দা প্রস্তাব এনে আলোচনাকে ঘিরে শাসক বিরোধী চাপান উতর তুঙ্গে ওঠে। বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে ওই প্রস্তাব এনে আলোচনার দাবি জানান মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সেই দাবি মেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আলোচনার অনুমতি দিলে মানস বাবু বলেন, গত ২৭ তারিখ নীতি অযোগের বৈঠকে যে অগণতান্ত্রিক আচরণ করা হয়েছে গোটা দেশ তাঁর সাক্ষী। এদিকে প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতায় মুখর হন বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করছেন তা যথার্থ নয়। যদি সংবাদ পত্রের রিপোর্ট নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয় তবে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ধর্ম সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে আলোচনা হবে না কেন তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এর পর একে একে লাভলি মৈত্র, নির্মল ঘোষ, , চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ প্রস্তাবের সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন। প্রস্তাবের বিরোধিতায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে তাঁরা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজের সংসদীয় দ্বায়িত্ব পালন করতে নীতি আয়ুগের বৈঠকে গেছিলেন। সেখানে তাঁকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct