সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং মহকুমা শহর।ঐতিহ্যবাহী এই শহরের বুক থেকে লাখ লাখ পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে পাড়ি দেয়।এছাড়াও বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষজন ক্যানিং শহর থেকে ট্রেনে,বাসে চেপে কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করেন।এহেন ক্যানিং শহরের বুকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। এমনকি খোদ মহকুমা শাসকের কার্য্যালয়ের সামনে,স্পোর্টস্ কমপ্লেক্সের পিছনে আবর্জনায় ভরপুর। তৈরী হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপের পাহাড় রয়েছে। সেই আবর্জনা থেকে দুর্গন্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র ক্যানিং শহরে। এমনকি দূষিত হচ্ছে মাতলা নদীও। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হয় অভিযোগ সাধারণ মানুষের।অভিযোগ অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা রাতের অন্ধকারে জমাকৃত ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়।ফলে আবর্জনা স্তূপ আকার ধারণ করেছে।এহেন পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পেতে চাইছেন সাধারণ মানুষ। এমন কি সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি পোষ্ট করে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাসের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছে। যদিও সামাজিক মাধ্যমের সেই পোষ্ট বিধায়ক পরেশরাম দাসের নজরে পড়তেই খুবই দ্রুততার সাথে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিধায়ক জানিয়েছেন, ‘আমি সামাজিক মাধ্যমে ছবি দেখেই ওখানেই গিয়েছিলাম।কিভাবে পরিষ্কার করা যায় সেটাই দেখতে।ইতিমধ্যে রবিবার থেকে জেসিবি দিয়ে পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ঐতিহাসিক ক্যানিং শহর কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য স্থায়ী একটি ভ্যাট তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রজেক্টের জন্য জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সোলিড ওয়েষ্ট ম্যানেজমেন্ট। এই ভ্যাট তৈরী হলে সমগ্র ক্যানিং শহরের সমস্ত ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা যাবে। সেখানে জমাকৃত ময়লা আবর্জনা থেকে প্লাস্টিক আলাদা করা হবে এবং অন্যান্য পচনশীল বস্তু থেকে সার তৈরী হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct