চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকদ্বীপ, আপনজন: আবার কুমিরের পেটে সুন্দরবনের এক  মৎস্যজীবী। অন্যান্যদের থেকে মাছের খোঁজখবর নেওয়ার সময় কুমির তাঁকে আক্রমণ করে।সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার সত্যদাসপুর এলাকার ওই মৎস্যজীবীকে রবিবার রাত পর্যন্ত  উদ্ধার করা যায়নি।তবে নদীতে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।ওই মৎস্যজীবীর নাম আসমাউদ্দিন শেখ। রবিবার সকালে এলাকার কয়েকজন মৎস্যজীবী নদীতে জাল দিচ্ছিলেন।তখন আসমা উদ্দিন তাঁদের কাছে মাছের খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। নদীর চরেই তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। আচমকাই একটি কুমির লেজের ঝাপটা দিয়ে তাঁকে জলে ফেলে দেয়। মুখে করে টেনে গভীর জলে নিয়ে চলে যায় ওই মৎস্যজীবীকে। খবর পাওয়ামাত্রই গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানা ও বনদপ্তর তৎপর হয়ে ওঠে। তাদের সাহায্য করেন স্থানীয়রা।ওই মৎস্যজীবীর খোঁজে নদীতে তল্লাশি চলছে।তবে এখনও মৎস্য জীবীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে ওই একই এলাকা থেকেই কুমিরের পেটে গিয়েছিল এক নাবালক। তিন দিন পর তার দেহ উদ্ধার হয়। মৃত নাবালকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করেছিলো রাজ্য সরকার। এবারও সেই একই জায়গা থেকে মধ্যবয়সি এক মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল কুমির।আর পর পর এই দুটি ঘটনায় স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। রামগঙ্গার রেঞ্জার কবীর হোসেন জানান, নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে চলছে তল্লাশি।এখনও পর্যন্ত হদিশ পাওয়া যায়নি। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই মৎস্যজীবীকে পাওয়া যাবে, ততক্ষণ তাঁর খোঁজে তল্লাশি জারি থাকবে বলেই জানান তিনি।

ভিয়েতনামে সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিখোঁজ

রোহিত–কোহলির টেস্ট ক্যারিয়ার কি শেষের পথে?

নেতানিয়াহুর অফিস ঘেরাও করল বিক্ষোভকারীরা