নকীব উদ্দিন গাজী, ডা. হারবার, আপনজন: বছর ২৫ এর এক যুবতীর দুটি পায়ে মোটা শিকলে তালা চাবি মারা অবস্থায় শহরের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে পরনে একটি শাড়ি কাঁদে একটি ঝোলা ব্যাগ সচরাচর কোন মানুষ প্রথমে বুঝতে পারবে না পা দুটি শিকল বাধা, পা দুটি দিয়ে ঘোষটাতে ঘোষটাতে হাঁটছেন এক যুবতী। এমনই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডায়মন্ড হারবার থানার স্টেশন মোড়ে, সকাল থেকে এভাবে অনেকে চোখ এড়িয়ে মেয়েটি ঘুরতে দেখা যায়। অবশেষে বেশ কয়েকজনের চোখে পড়ে ওই যুবতীর পায়ে মোটা শিকল দিয়ে বাঁধা এরপর ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমেই কোন কথার উত্তর দিচ্ছিল না কেউ খাওয়ার দিচ্ছে কেউ আবার নাম জিজ্ঞাসা করে জানার চেষ্টা করছে। তার পায়ে এমন শিকল বাঁধা কেন আলতো আলতো ভাবে যুবতী বলল তার মা তাকে এভাবে বেঁধে দিয়েছে। সে কিভাবে এল কার সঙ্গে এলো সে কিছুই বলতে পারছে না ।এরপর স্থানীয়রা খবর দেওয়া হয় ডায়মন্ড হারবার থানাতে। ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ খবর পাওয়ার মত মাত্রই গাড়ি নিয়ে চলে আসে ডায়মন হারবার স্টেশন মোড়ের কাছে, যুবতীর সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করে বাড়ি ঠিকানা , তবে সঠিকভাবে বলতে পারছিল না অবশেষে ওই যুবতীকে গাড়িতে তুলে থানাতে নিয়ে যায় এরপর পায়ে জড়ানো সেই মোটা শিকল বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধারালো করাত দিয়ে কেটে ফেলার চেষ্টা চলে, অবশেষে শিকল কেটে বাদ দেওয়া হয়। পায়ের দুটি অংশ বেশ ফুলে গেছে বেশ কিছুদিন ধরে এভাবে পায়ে শিকল বাধা অবস্থায় থাকার কারণে পায়ে বেশ কিছু জায়গায় কেটেও যায় কাল সিটের দাগ পড়ে যায়। বেশ কসরত করে পায়ের শিকল কাটার পর কিছুটা স্বস্তি পেল ওই যুবতী। এরপর মানবিক পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার একটি নতুন শাড়ি জামা দেওয়া হয়। পরনে যা ছিল সেগুলোকে পরিবর্তন করে মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের সাহায্যে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে দেওয়া হয়। খেতে দেওয়া হয় বিরিয়ানি। এরপর বেশি কিছুক্ষণ ধরে তার মতন হয়ে তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করে বাড়ির ঠিকানা। পুলিশ প্রশাসনের সূত্রে জানা যায় ওই যুবতী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যানি বাড়ি আমতলা এলাকারই নাম বলছে। তবে সঠিক কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। যদি তার বাড়ির কোন ঠিকানা না পাওয়া যায়, প্রশাসন সূত্রে জানা যায় ওই যুবতীকে কোন নির্দিষ্ট হোম পাঠানোর ব্যবস্থা করবে। তবে বর্তমান ওই যুবতী এখন ডায়মন্ড হারবার থানাতে তার আস্তানা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct