আমীরুল ইসলাম, বোলপুর, আপনজন: অনুব্রত হীন বীরভূম জেলায় ২৭ শে জুলাই নানুর শহীদ দিবস পালন করলো বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নানুর শহীদ দিবসের নেতৃত্বে শহীদ পরিবারের সদস্য ও বীরভূম জেলার সভাধিপতি কাজল শেখ। বীরভূমের নানুরে বাসাপাড়া শহীদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, নানুরে বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি, সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা, শহীদ পরিবারের সদস্য ও বীরভূম জেলার সভাধিপতি কাজল শেখ, ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় , রাজ্যের মন্ত্রী চন্দনাথ সিনহা, বোলপুর লোকসভার সংসদ অসিত মাল, কেতুগ্রামের বিধায়ক ও শহীদ পরিবারের সদস্য সেখ শাহনাজ, কোর কমিটির সদস্যবৃন্দ , পৌরসভার চেয়ারম্যান , অঞ্চল সভাপতি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।২০০০ সালে ২৭ এ জুলাই। একরাত্রে নানুরের মাটিতে ১১ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক কে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে। যা নানুরের “সুচপুর গণহত্যা” নামে পরিচিত। তৎকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর পেয়ে দিল্লি থেকে ছুটে আসেন নানুরের মাটিতে। সে সময় নিহত ১১ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দেহ কবর দিতে বাধা সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নানুরের মাটি থেকে ঘোষণা করেছিলেন নিহত কর্মী সমর্থকদের পরিবার পিছু একজনের চাকরি হবে। নেত্রীর ঘোষণা মত এগারোটি পরিবারই চাকরি পেয়েছিল।
দেখতে দেখতে নানুর সুচপুর গণহত্যার দুই দশক কেটে গেছে। অজয় নদের জল গড়িয়েছে বহুদূর। ২০১১ সালে মমতার হাত ধরে এ রাজ্যে পালাবদল হয়। নবান্নর ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। বিরোধী নেত্রী হিসেবে থাকাকালীন প্রত্যেক বছর ২৭শে জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সশরীরে নানুরে আসতেন শহীদ দিবসের দিন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বেশ কয়েকবার এসেছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct