নিজস্ব প্রতিবেদক, কলকাতা, আপনজন: চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হল খুনের মামলার এক বিচারাধীন বন্দির। এমনটাই অভিযোগ করছেন মৃত যুবক রাজ দত্তর পরিবার। মৃত যুবকের বয়স কুড়ি বছর । সে ভালো ফুটবল খেলত।তার পরিবার শনিবার সকালে জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাড়িতে ফোন পায়।তাদের জানানো হয় যে ভোররাতে রাজা দত্তর মৃত্যু হয়েছে। এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন ।তারা শনিবার সকালে জেল গেটে জড়ো হয়ে দমদম সংশোধনাগারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাদের অভিযোগ আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও সময় মতো চিকিৎসা হলে মৃত্যু হতো না রাজ দত্তের। এমনটাই অভিযোগ করছেন মৃত যুবকের পরিবারের লোকজদের। তাঁরা অভিযোগ করছেন যে বাগুইআটি অর্জুনপুরে একটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল ।তাতে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় রাজ দত্ত সহ আরো ১৯ জনকে । ২৮ এপ্রিল এই ঘটনাটি ঘটেছিল। এই মিথ্যা মামলা করানো হয় নাকি বিধান নগর পৌরনিগম মেয়র পরিষদ সদস্য দেবরাজ চক্রবর্তীর অঙ্গুলি হেলনে,এমনটাই অভিযোগ করছেন মৃত যুবকের বাড়ির লোকজন। দমদম সংশোধনাগারে গেটের সামনে তারা বিক্ষোভ দেখান দীর্ঘক্ষণ। পরিবারের পক্ষ থেকে দমদম সংশোধনাগারের জেলারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়। এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে। অর্জুনপুরের অন্যান্য বাসিন্দাদের অভিযোগ বাগুইহাটি থানার একশ্রেণীর পুলিশ অফিসার প্রকৃত দোষীদের আড়াল করতে মিথ্যা মামলায় এলাকার নিরাপরাধ যুবকদের ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে নিরাপরাধ যুবকরা মিথ্যা মামলায় জেলবন্দী। বাগুইআটি থানার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই নানা ধরনের অভিযোগ দেখা দিয়েছে। পুলিশের একাংশের মতে বাগুইআটি থানায় একসময় জোড়া ছাত্র খুনের ঘটনায় যে আইসি কল্লোল খোঁজ কে মুখ্যমন্ত্রী সরিয়ে দিয়েছিলেন ভৎসনা করে তাকে আবার পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে নিউ টাউন থানায়। নিউ টাউন এবং বাগুইহাটি থানা দুষ্টের দমনে ও শিষ্টের পালনে প্রকৃত ভূমিকা পালন করছে না বলে মনে করছে এলাকবাসী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct