সুভাষ চন্দ্র দাশ, ক্যানিং, আপনজন: গত কয়েকদিন আগেই অসহায় বৃদ্ধর সংবাদ দৈনিক ‘আপনজন’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদ পড়ে নড়ে চড়ে বসে ব্লক প্রশাসন বিগত দিনের ন্যায় আবার মানবিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেল খোদ বিডিও কে।বৃহষ্পতিবার রাতের ঘটনা।প্রত্যন্ত সুন্দরবনের বাসন্তী ব্লক। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে মাতলা নদী। নদীর তীরে উত্তর মোকামবেড়িয়া পঞ্চায়েতের হাড়ভাঙী গ্রাম।গ্রামেই বসবাস করেন আশি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধ সন্তোষ প্রধান। স্ত্রী বিয়োগ হয়েছে গত প্রায় দশ বছর আগে। একটি মাত্র ছেলে। সেও স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করে।ভাইপো দেখাশোনা করতো।ভাইপো সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেছেন। অগত্যা নিরুপায় হয়ে প্রায় বছর তিনেক ধরে অসহায় ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই বৃদ্ধ।কেউ দেখাশোনা না করায় বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ২০০ দিন অনাহারে কাটে। সাহায্যের আশা নিয়ে চাতকের মতো ঘুরছিল বৃদ্ধ।
‘আপনজন’ সংবাদপত্রের মাধ্যমে এমন খবর জানতে পেরেছিলেন বাসন্তীর ব্লক সমষ্টী উন্নয়ণ আধিকারিক সঞ্জীব সরকার। তিনি বৃহষ্পতিবার রাতে হাড়ভাঙী গ্রামে পৌঁছে যান। সেখানে বৃদ্ধ সন্তোষ প্রধান ও গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলে সমস্ত ঘটনার খোঁজ নেন। বৃদ্ধ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে তার উদ্যোগ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন বিডিও।
রাতের অন্ধকারে খোদ বিডিও কে কাছে পেয়ে নিজের জীবন ইতিহাস তুলে ধরেছেন বৃদ্ধ সন্তোষ। বিডিওর আশ্বাসে নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিডিও সঞ্জীব সরকার জানিয়েছেন, ‘অসহায় বৃদ্ধর করুণ কাহিনীর কথা জানতে পেরে স্বচক্ষে দেখার জন্য হাড়ভাঙী গ্রামে গিয়েছিলাম।বৃদ্ধ যাতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারেন এবং খুব শীঘ্রই সরকারী ভাবে যাতে সুযোগ সুবিধা পায় সেই আশ্বাস দিয়েছি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ রেশন তুলে দিয়েছি।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct