আপনজন ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ায় সাতজন এমপিকে ছয় মাসের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করেছে লেবার পার্টি। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আপসানা বেগম ও সাবেক শ্যাডো চ্যান্সেলর (ছায়া অর্থমন্ত্রী) জন ম্যাকডোনেলও রয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির দেশের দুই সন্তানের সুবিধার সীমা বাতিল বরতে একটি প্রস্তাব আনে। তবে ভোটাভুটিতে ৩৬৩-১০৩ ব্যবধানে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।
লেবার পার্টির প্রায় সব এমপি এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলেও পক্ষে ভোট দিয়েছেন এই সাতজন। তাই তাদের দলীয় সদস্যপদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হুইপ। তবে দলের সদস্যপদ আপাতত হারালেও তারা সংসদে স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আপসানা বেগম ও জন ম্যাকডোনেল ছাড়াও রিচার্ড বার্গন, ইয়ান বাইর্ন, রেবেকা লং বেইলি, ইমরান হুসেন এবং জারা সুলতানার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এমপিদের অধিকাংশই ছিলেন সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিনের অনুসারী। যিনি স্বতন্ত্র এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে রয়েছেন। তিনিও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
২০১৭ সালে দুই সন্তানের সুবিধা চালু করে কনজারভেটিভ সরকার। তবে এ প্রস্তাব পাস হলে যুক্তরাজ্যে দুই সন্তানের বেশি ছেলে-মেয়ের জন্যও ইউনিভার্সাল ক্রেডিট বা চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট (সামাজিক সুবিধা) দাবি করতে পারতেন বাবা-মায়েরা। তবে এখন শুধু দুই সন্তানের জন্যই এই সুবিধা লাভ করবেন তারা।
দ্য ইনস্টিটিউট ফর ফিসকাল স্টাডিজ ধারণা করছে, দুই সন্তান সুবিধার সীমা বাতিল করলে বছরে সরকারের ৩৪০ কোটি পাউন্ড খরচ বাড়বে।
ভোট দেওয়ার আগে আপসানা বেগম ফেসবুকে লেখেন, ‘যুক্তরাজ্যের মধ্যে শিশু দারিদ্র্যের সর্বোচ্চ হারের কিছু অংশ পূর্ব লন্ডনে। আমি আজ দুটি শিশু সুবিধার সীমা বাতিল করতে ভোট দেব।’
এদিকে দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এক্সে (সাবেক টুইটার) আপসানা লিখেছেন, ‘দুটি শিশুর সুবিধা সীমার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি। এটি অনেক পরিবারের জন্য শিশু দারিদ্র্য এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ক্রমবর্ধমান ও গভীরতর স্তরে অবদান রাখবে। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি আমাকে এখন জানানো হয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct