আপনজন ডেস্ক: আমেরিকা উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা বা ন্যাটো’র সাম্প্রতিক বৈঠকে ঘোষণা করেছে যে তারা জার্মানিতে তাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চায়। পার্সটুডে জানিয়েছে, জার্মানির বহু দল ও রাজনীতিবিদ এই ইস্যুটির তীব্র সমালোচনা করেছে। বিদেশী অনেক কর্মকর্তাসহ বিশেষজ্ঞরাও জার্মানিতে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনের বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। বার্লিন আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার মানে হলো আমেরিকার আধিপত্যের কাছে জার্মানির বশ্যতা স্বীকার করা। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সম্প্রতি জার্মানিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন রাশিয়ায় ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনামলে তাদের অস্ত্রের মজুদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে কারণেই জার্মানি তাদের ভূখণ্ডে আমেরিকার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েনকে সমর্থন দিয়েছে।
জার্মান পার্লামেন্টে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানি দলের প্রধান রুলফ মোটসেনিশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দেশের ওই চুক্তির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন আমেরিকার ওই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিপদকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। এদিকে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ২০২৬ সাল পর্যন্ত জার্মানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন: এর জবাবে মস্কোর পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ সম্প্রতি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জার্মানির সমালোচনা করে বলেছেন: ওয়াশিংটনের দাবির প্রতি বার্লিনের নতি স্বীকার সে দেশের অবমাননার লক্ষণ।
রাশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রুহুল্লাহ মোদাব্বেরও জার্মানিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দখলকৃত একটি দেশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন: হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসহ যে গোপন পরিকল্পনার কথা এখন প্রস্তাব করা হয়েছে তা থেকে বোঝা যায় জার্মানিকে কোনো একভাবে আমেরিকা দখল করে নিয়েছে। উল্লেখ্য যে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে ঘিরে ন্যাটোর ৮লাখ সেনাও মোতায়েন করা হবে জার্মানিতে। এর মানে হলো রুশ বিরোধী কর্মকান্ডের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে জার্মানি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct