নিজস্ব প্রতিবেদক, ক্যানিং, আপনজন: রবিবার সকাল নটা নাগাদ হন্তদন্ত হয়ে এক মহিলা ও তাঁর পরিবারের লোকজন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হাজীর হয়।ব্যাগ থেকে তীক্ষ্ণ বিষধর কালাচ ও একটি বিষহীন ঘরচিতি সাপ বের করে ডাক্তার বাবুর টেবিলে রাখেন।হুলস্থুল পড়ে যায় হাসপাতালে। তবে সাপ দুটি মৃত ছিল।এরপর মহিলার কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে শুরু হয় চিকিৎসা প্রক্রিয়া।তবে এক্ষেত্রে প্রকৃতির নিয়মে খাদ্য-খাদকের সম্পর্কের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ওই মহিলা।
জানা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার অন্তর্গত হাড়দহ এলাকার বাসিন্দা রৌকসোনা লস্কর।মুসারী না টাঙিয়ে শনিবার রাতে বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলেন।আচমকা ঘরের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।একটি আরশোলাকে টিকটিকি ধরেছিল খাওয়ার জন্য,আবার টিকটিক কে ঘরচিতি সাপ খাওয়ার জন্য ধরে ফেলে,সেই মুহূর্তে ঘরচিতিকে খাওয়ার জন্য একটি তীক্ষ্ণ বিষধর কালাপ সাপ তাকে ধরে।সেই মুহূর্তে ঘরচিতি প্রাণে বাঁচার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিল।আচমকা বিছানার ওপর ধপাস করে পড়ে মহিলার ঘাড়ে কামড় দেয়। রাতের অন্ধকারে ঘাড়ে কিছু একটা কামড় দেয় বুঝতে পারেন রৌকসোনা।তড়িঘড়ি ঘুম ভেঙে জেগে ওঠেন।লাইট জ্বালতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন।সম্বিৎ ফিরতেও পরিবারের লোকজনদের ডাকাডাকি করে।পরিবারের লোকজন রাতেই ঘরের মধ্যে সাপ দুটি মেরে ফেলে। ওই মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যায়।বিপদ হতে পারে বুঝতে পেরে মৃত সাপ দুটি নিয়ে রবিবার সকালে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে হাজীর হয়।সেই মুহূর্তে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষঞ্জ চিকিৎসক ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায়,ডাঃ প্রতাপ মন্ডল ও সমাজকর্মী দেবাশীষ দত্ত,চন্দন বিশ্বাস ও গ্রামীণ চিকিৎসক আশরাফ হালদাররা।দ্রুততার সাথে শুরু হয় চিকিৎসা। তবে ওই মহিলাকে বিষহীন ঘরচিতি সাপ কামড় দেওয়ায় এযাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।ডাঃ সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন,প্রকৃতির নিয়মে পোকামাকড় খাওয়ার জন্য রাতে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে ঘরচিতি সাপ।আবার ঘরচিতি সাপ কে খাওয়ার জন্য চলে আসে তীক্ষ্ণ বিষধর কালাচ সাপ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct