হাসান সেখ, বহরমপুর, আপনজন: বহরমপুর থানা এলাকার শহীদ সালাম রোডের বেহাল অবস্থা ,গোটা রাস্তা জুড়ে ছোটবড় গর্ত। কোথাও পিচ উঠে নীচে ইটের খোয়া বেরিয়ে পড়েছে। যাতায়াত করতে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে পথচারী থেকে যান চালকদের।
বহরমপুর থানার অন্তর্গত কদবেল তালা থেকে কুমরাদহ ঘাট শহীদ সালাম সরণি রোড নামে পরিচিত , অপরদিকে চুনা খালি নিমতলা হইতে সারগাছি পর্যন্ত যে বাদশাহী রোড আছে সেই বাদশাহী রোড গত ২০১০-২০১১ সালে বি.আর.জি. এফ. স্কিমে তারাক পুর বকুলতলা মোড় হইতে তারাক পুর দক্ষিণে কানু মণ্ডলের বাড়ি পর্যন্ত যে, ১.৫ কিমি রাস্তা পাথর ও পিচ দ্বারা নির্মান করা হইয়া ছিল উক্ত রাস্তাটির অবস্থা বর্তমানে খুব খারাপ। কারণ পিচ্ উঠে গিয়েছে পাথর সরে গিয়েছে, কোথাও উঁচু কোথাও নিচু হয়ে যাওয়ায় কোন যানবাহন ঠিক মত চলাচল করতে পারছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা বেল্লাল সেখ জানালেন এই দাবিতে দিনের পর দিন প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনিক স্তর থেকে আশ্বাসও মিলেছে। কিন্তু কাজের কাজ আর হয়নি।
এক সময় পিচের ছিল। তবে এখন আর তা বোঝার উপায় নেই। শহীদ সালাম সরণি রোড এর
রাজধারপাড়া পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের প্রধান ভরসা এই রাস্তা। পাশ্ববর্তী হাতি নগর পাঁচপি তালা,নাগরাজোল, খরশাডাঙ্গা তারাকপুর এলাকার লোকজনও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।
বাস রুট না থাকলে ও ব্যাটারী চালিত ই রিশকা,অটো-টোটো চলে। বহরমপুর স্টেশনে যাতায়াত করার জন্য বহু মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র ইংলিশ মিডিয়াম মাদ্রাসা ,একাধিক প্রাথমিক এবং হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে হয়। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম। পরে দু’-এক বার জোড়াতাপ্পি দেওয়া হলেও পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হয়নি। গত কয়েক বছর ধরে রাস্তার হাল ক্রমশ খারাপ হয়েছে। এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে দরবার করে আসছেন এলাকার মানুষ। গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।কিন্তু লাভ হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় কয়েকটি কারখানা ইটভাটা রয়েছে। ওই সব কারখানার ভারী ভারী ট্রাক দিন-রাত ওই রাস্তায় চলাচল করে। সংস্কার না হওয়ায় রাস্তা বর্তমানে একেবারে চলার অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। অটো , টোটো চালকদের বক্তব্য, রাস্তার হাল এতটাই খারাপ যে গাড়ির যন্ত্রপাতি ভেঙে যাওয়ার জোগাড়। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর। খানাখন্দে জল জমে যাওয়ায় রাস্তা পারাপার করাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। গাড়িঘোড়া তো বটেই, পথচারীরাও পথ চলতে সমস্যায় পড়েন। অথচ প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।।
স্থানীয় বাািন্দা আক্তারুল সেখ বলেন মনিন্দ্র নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে হাতা কলোনিতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করার জন্য একটি বিশুদ্ধ পানীয় জল এটিএম বসানো হয়েছিল কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে পুনরায় যদি এই (এ, টি, এম) টি চালু করা যায় অনেকেই জল পান করতে পারবে না। স্থানীয় দোকানদার থেকে পথ চলতি মানুষ জল পান করার সুযোগ পাবে।
ওই এলাকা থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য আশা খাতুন বিবি বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct