আপনজন ডেস্ক: ২১ জুলাই বাংলাদেশের শীর্ষ আদালত সেদেশের সিভিল সার্ভিস নিয়োগের বিতর্কিত নিয়ম প্রত্যাহার করে নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতারা এখনও শান্ত হননি। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার বংশধরদের জন্য ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের যে রায় ঢাকার হাইকোর্ট দিয়েছিল তা রবিবার খারিজ করে দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। তবে সরকারি চাকরিতে কোটা একেবারেই বিলোপ করা হয়নি।
সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য। ১ শতাংশ উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য এবং আরও ১ শতাংশ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৯৩ শতাংশের নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতেই। ৩০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা নিঃসন্দেহে আন্দোলনকারীদের জন্য বড় জয়।
রবিবার শুনানির পর বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়কে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিক্ষোভ সংগঠিত করার দায়িত্বে থাকা প্রধান গ্রুপ স্টুডেন্টস এগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশনের এক মুখপাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। তবে যতক্ষণ না সরকার আমাদের দাবির প্রতিফলন ঘটিয়ে আদেশ জারি করছে, ততক্ষণ আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করব না।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণের রায় দিয়েছিল ২০১৮ সালে দিয়েছিল হাইকোর্ট। তা নিয়ে সে সময়েই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সম্প্রতি নতুন করে এই রায়কে বহাল করার পর থেকেই গর্জে ওঠে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ। বিক্ষোভ আন্দোলনে ক্রমশ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রূপ নেয়। রবিবার সকাল পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ১৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে আন্দোলনে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct