আপনজন ডেস্ক: সম্প্রতি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের রানিংমেট হিসাবে জেডি ভ্যান্সের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
তিনিই কয়েকদিন আগে একটি বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন, যখন তিনি বলেছিলেন যে, লেবার পার্টির অধীনে যুক্তরাজ্যই পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রথম ‘সত্যিকারের ইসলামপন্থি’ দেশ হতে পারে।
ভ্যান্স বলেছিলেন, তিনি তার এক বন্ধুর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলেন যে কোন সে দেশ যেটি প্রথম ‘সত্যিকার ইসলামপন্থি দেশ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র পাবে’।
তিনি গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য কনজারভেটিভদের জন্য অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে বলছিলেন, ‘সম্ভবত এটি ইরান, পাকিস্তানও হতে পারে। তবে ব্রিটেনে লেবার পার্টি সবেমাত্র দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, দেশটি আসলে যুক্তরাজ্য।
এদিকে ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেনার ভ্যান্সের ওই মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তার (ভ্যান্স) ‘অহেতুক’ মন্তব্য করার ইতিহাস রয়েছে।
এরকম একটা বিতর্কিত চরিত্রকে ব্রিটেন কখনই স্বীকৃতি দেয়না উল্লেখ করে অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেন, আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জয়ী হবেন, ব্রিটেন তার সঙ্গে কাজ করবে। তবে ওরকম কারও সঙ্গে নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ব্রিটেনের পক্ষে শাসন করতে এবং আমাদের আন্তর্জাতিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত হওয়ার পর ভ্যান্স তার প্রথম সাক্ষাৎকারের একটিতে চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সেইসঙ্গে নির্বাচিত হলে বেইজিংয়ের প্রতি তাদের প্রশাসনের সম্ভাব্য কঠোর অবস্থানের ওপরও জোর দিয়েছেন।
সোমবার ফক্স নিউজের শন হ্যানিটির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ওহিও সিনেটর এমন মন্তব্য করেন। সে সময় ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভ্যান্স বলেন, ‘ট্রাম্প এ বিষয়টিকে দ্রুত সমাধানের জন্য মস্কো এবং কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে আমেরিকা তার আসল ইস্যু চীনের ব্যাপারে ফোকাস করতে পারে।’
চীনকেই সবচেয়ে বড় হুমকি উল্লেখ করে ৩৯ বছর বয়সি এ রিপাবলিকান সিনেটর বলেন, এ দেশটিই আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি এবং তারা আমাদের সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্ত করে ছেড়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct