আপনজন ডেস্ক: সোমবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চে বিতর্কিত ভোজশালা-কামাল মওলা মসজিদ কমপ্লেক্সের বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এএসআইয়ের আইনজীবী হিমাংশু জোশী হাইকোর্টের রেজিস্ট্রিতে ২০০০ পাতার ওই রিপোর্ট তুলে দেন। তিনি বলেন, আমি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আগামী ২২ জুলাই হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।১১ মার্চ, হাইকোর্ট হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিসের আবেদনের ভিত্তিতে এএসআইকে রাজ্যের ধর জেলার কমপ্লেক্সে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দেয় এবং এই কাজের জন্য প্রিমিয়ার এজেন্সিকে ছয় সপ্তাহ সময় দেয়। ২২ মার্চ সমীক্ষা শুরু করা এএসআই সময়সীমা বাড়ানোর জন্য দু’বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
২৯ এপ্রিল হাইকোর্ট সমীক্ষা শেষ করার জন্য এএসআইকে আরও আট সপ্তাহ সময় দিয়েছিল এবং ২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল। তবে সিবিআই চার সপ্তাহ সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। ৪ জুলাই, হাইকোর্ট এএসআইকে একাদশ শতাব্দীর স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে প্রায় তিন মাসের সমীক্ষার সম্পূর্ণ প্রতিবেদন ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে উপস্থাপনের নির্দেশ দেয়, যা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিরোধের বিষয়। কামাল মওলা মসজিদকে হিন্দু সম্প্রদায় ভোজশালাকে বাগ্দেবীর (দেবী সরস্বতী) মন্দির হিসাবে বিবেচনা করায় বিতর্ক শুরু হয়। এরপর এএসআই ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল স্মৃতিসৌধে প্রবেশের বিষয়ে একটি আদেশ জারি করে। ২১ বছর ধরে চলে আসা এই নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভোজশালা চত্বরে হিন্দুরা উপসনা করতে পারবে এবং মুসলিমরা শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়তে পারবেন।
হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস তাদের আবেদনে এই ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।
১ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট ভোজশালার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছিল তবে বলেছিল যে অনুশীলনের ফলাফলের উপর তাদের অনুমতি ছাড়া কোনও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়। বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ১১ মার্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মৌলানা কামালুদ্দিন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দায়ের করা আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct