বাইজিদ মণ্ডল, ঢোলা, আপনজন: ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার ঢোলা হাট থানাতে গত ৪ জুলাই আবাদ ভগবানপুর অঞ্চলের ঘাটবকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত এক যুবক আবু সিদ্দিক হালদারকে তুলে এনে পুলিশ অমানবিক অত্যাচার ও মারধর করে। তার ফলে ওই যুবকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ তার পরিবারের। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষ ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে এবং ঢোলা হাট থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। বুধবার ভাঙড়েরর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বকুলতলা গ্রামে, আবাদ ভগবানপুর অঞ্চলে মৃতের বাড়িতে ঘটনার বিস্তারিত জানতে এবং মৃত্যু আবু সিদ্দিক হালদারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান। নওশাদের কাছে সিদ্দিকীর পরিবারের লোকজন জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই যুবকের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাঠি দিয়ে সারা শরীরে ভয়ংকর ভাবে আঘাত করে,পায়ের তলা ফুলে যায়, চামড়া ফেটে যায়, অভিযোগ থেকে পাওয়া যায় যে মুত্রদ্বারে ইলেকট্রিক শক দেয়, মল দ্বারে লাঠি ঢুকিয়ে আঘাত করে। কোর্টে তোলার সময় মলদ্বার থেকে রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে বলে পরিজনদের দাবি। এদিন নিহত আবু সিদ্দিক হালদারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সঠিক বিচার ও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে আসেন আইএসএফ চেয়ার ম্যান তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। পাশাপাশি তিনি উত্তর প্রদেশে মুসলিম নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেগুলো তুলে এই রাজ্য সরকারের উপর একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন শুধু মুসলিম নিরীহ ছেলেদের রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে তাদেরকে নিধন করা হচ্ছে। নওশাদ সিদ্দিকী এই মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে দোষী পুলিশ অফিসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct