আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর করেছে ব্রাজিল। যা ইসরায়েলকে তিরস্কার করার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি দেশটির দৃঢ় সমর্থনের প্রকাশ। সোমবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই চুক্তিটি অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য একটি বাস্তব অবদান। যাতে করে দেশটি প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড এ খবর জানিয়েছে।
ব্রাজিল ২০১০ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। দেশটির রাজধানীতে একটি ফিলিস্তিনি দূতাবাস স্থাপনের অনুমতিও দিয়েছে। শুক্রবার লাতিন আমেরিকার মেরকোসুর বাণিজ্য ব্লক ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে ২০১১ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি অনুমোদন করেছে।
ব্রাসিলিয়ায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম আল জেবেন ব্রাজিলের সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী, সমর্থনমূলক এবং সময়োপযোগী’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পাঠানো এক বার্তায় বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনে শান্তি সমর্থনের কার্যকর উপায়।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেছেন, তিনি আশা করছেন মেরকোসুরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে বছরে তা মাত্র ৩২ মিলিয়ন ডলার রয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রতি ব্রাজিলের সমর্থন
মে মাসে প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা ডা সিলভা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার যুদ্ধের বিরুদ্ধে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতকে ইসরায়েল থেকে প্রত্যাহার করেছিলেন।
অবরুদ্ধ উপত্যকায় ইসরায়েলের হত্যাকাণ্ড শুরুর কয়েক সপ্তাহ পর লুলা হিটলারের হলোকাস্টের সঙ্গে ইসরায়েলের কার্যকলাপের তুলনা করেন। ব্রাজিলসহ অনেক লাতিন আমেরিকান দেশ আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যার মামলাকে সমর্থন করেছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলার বাদী হতে লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কলম্বিয়া। যুদ্ধের কারণে মে মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
অক্টোবর ৭ তারিখ থেকে অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে স্পেন, নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, বাহামাস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, জ্যামাইকা, বার্বাডোস ও আর্মেনিয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct