সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া, আপনজন: মদ খাওয়ার পর বিড়ি খাওয়ার সখ হয়েছিল তার । পকেট হাতড়েও মেলেনি বিড়ি। বাজারে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিড়ি কেনার উপায়ও ছিল না। এরপরই চক বাজারে একের পর এক দোকানের দরজা ভেঙে বিড়ির খোঁজ চালায় মরিয়া যুবক। বিড়ি না মিললেও মিলেছিল খুচরো পয়সা, ইলিশ, পমফ্রেট, ভেটকি আর ডিম। শেষ অবধি তা নিয়েই চম্পট দিয়েছিল সে। বাঁকুড়ার চকবাজারে সিরিয়াল চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে সিসি ক্যমেরার ফুটেজই শেষ পর্যন্ত ধরিয়ে দিল চোরকে। সুরজ দে নামের ওই চোরকে আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে নিল বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
বাঁকুড়া শহরের চক বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়াল চুরির ঘটনা ঘটে। মাছ, ডিম ও মশলার দোকান সহ একের পর এক দোকানে হানা দিয়ে ইলিশ, পমফ্রেট, ভেটকি মাছ সহ ডিম ও মশলা নিয়ে চম্পট দেয় চোর। বাঁকুড়ার প্রাণকেন্দ্র মাচানতলায় পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে এমন সিরিয়াল চুরির ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা শহরে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনার তদন্তে নামে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। চক বাজারের একাধিক সিসি ক্যমেরার ফুটেজ দেখে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চোরকে চিহ্নিত করে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। এরপর বাঁকুড়া শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পোদ্দার পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সুরজ দে কে। সুরজ দে কে জিজ্ঞাসাবাদ করে অদ্ভূত তথ্য জানতে পারে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত নিজের বাড়িতে বসেই মদ খেয়েছিল সুরজ। মদের নেশা ধরতেই তার মাথায় চেপে বসে বিড়ির নেশা। নিজের পকেট হাতড়ে বিড়ি মেলেনি। পরে বিড়ি কিনতে বাজারে বের হয় সুরজ। চক বাজারেও খোঁজ চালায় সে। কিন্তু সেখানেও দোকান খোলা না থাকায় বিড়ির খোঁজে একের পর এক দোকানের দরজা ভেঙে ফেলে।
দোকানগুলিতে বিড়ি না মিললেও হাতের কাছে ইলিশ, পমফ্রেট, ভেটকি, ডিম ও কাজু যা পায় তা নিয়েই চম্পট দেয় সুরজ। সামান্য একটি বিড়ির জন্য একের পর এক দোকানের দরজা ভেঙে এমন চুরির ঘটনায় তাজ্জব তদন্তকারীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct