আপনজন ডেস্ক: গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বিষয়ক প্রস্তাবে ইসরায়েলের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। রোববার (৬ জুলাই) হামাসের দুই কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছে। মার্কিন প্রস্তাবিত এই চুক্তির শর্তগুলোতে সম্মতি জানানোর ৫ দিন পর এমন মন্তব্য করলো হামাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের দুই কর্মকর্তার একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে আমাদের জবাব জানিয়েছি। এখন আমরা দখলদারদের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি।’
চলতি বছরের মে মাসে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। যুদ্ধবিরতিটির লক্ষ্য হলো যুদ্ধ বন্ধ করা এবং হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছে তাদের মুক্ত করা। অপর এক ফিলিস্তিনি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কাতারের সঙ্গে কথা বলছে দখলদার ইসরায়েল।
তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তারা কাতারের সঙ্গে হামাসের জবাব নিয়ে কথা বলেছে এবং কথা দিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যে নিজেদের জবাব দেবে।’
তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শনিবার হামাসের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গাজা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস দাবি করেছে, কোনও চুক্তিতে স্বাক্ষর করার আগে ইসরায়েলকে গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এর পরিবর্তে চুক্তির অধীনে প্রথম ধাপের ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই শর্ত বাস্তবায়নে আলোচনার জন্যও আগ্রহী হামাস। এই শান্তি প্রচেষ্টার বিষয়ে অবগত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েল প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হবে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনা করতে কাতার যাবেন ইউএস সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টার উইলিয়াম বার্নস। বিষয়টির সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুরু করা পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, হামাসের ওইদিনের হামলায় এক হাজার ২০০ লোক নিহত হন। এসময় আরো প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct