তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা। ৭ বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চলছে পরিষেবা। প্রশাসনকে একাধিকবার লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েও হয়নি কোনো কাজ। এলাকায় জমছে ক্ষোভ। হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুরে ২০১০ সালে ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সেখানে ৭ বছর ধরে চলে পরিষেবা। ২০১৭ সালের বন্যায় সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেঝে বসে গিয়ে ঘরের মধ্যে গর্ত হয়ে যায়। ফাটল দেখা দেয় ভবনে। সেই আতঙ্কে সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা ভবন ছাড়তে বাধ্য হয়। পাশের এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে ৮ বছর ধরে দিয়ে আসছে পরিষেবা। যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ী বলেন,পুরনো সু-স্বাস্থ্য ও উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরি করা হবে। নবান্ন থেকে নির্দেশ পেলেই নতুন ভবনের কাজ শুরু হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর -১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসলামপুর,দক্ষিণ রামপুর ও আলিপুর তিন টি গ্রামের একমাত্র নির্ভরযোগ্য সু- স্বাস্থ্য হচ্ছে এটি। ২০১৭ সালের বন্যায় সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেয়াল থেকে ইট খসে পড়তে শুরু করেছে। জঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে ভবন।
আস্তাকুঁড়ের জায়গা হয়ে উঠেছে ভবনটি। রাতে শেয়াল ও কুকুরের বাসায় পরিনত হয়েছে ভবনটি। সরকারের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে এই দশা বলে ক্ষোভ এলাকায়। মহেন্দ্রপুর সু-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি হেল্থ অফিসার সোনা খাতুন বলেন,ছোট একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে আমাদের পরিষেবা দিতে হয়।
সারা বছরে তিনটি গ্রামের প্রায় এক হাজারের বেশি গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের পরিষেবা নিতে আসেন। আমরা একাধিকবার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ থেকে শুরু করে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি। কেউ গুরুত্ব দেইনি।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন,সু- স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে মাটি ভরাট করে মেঝেটি করতে বলেছি এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককেও জানিয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হুসেন ওনিহারুল আলিরা বলেন,এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরের দেওয়াল গুলিতে ধরেছে ফাটল। দেয়ালের উপরে গজিয়ে উঠেছে আগাছা। ভেঙে গিয়েছে জানলা ও দরজা। এমনকী দেয়াল থেকে ইট খসে পড়ছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি আস্তাকুড়ে পরিণত হয়েছে। এতে যে কোন সময় বিপত্তি ঘটতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct