নিজস্ব প্রতিবেদক, নদিয়া, আপনজন: “বাথরুমে যাচ্ছি আর কোন লোক নেই ধৈর্য ধরে দাঁড়ান এসে টিকিট দিচ্ছি”সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টার ঘোরাফেরা করছে দিন দুয়েক ধরে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নদীয়ার শিয়ালদা কৃষ্ণনগর রুটের চাকদহ স্টেশনের একটি টিকিট কাউন্টারে ঘটনা এটি। কর্মী অভাবের ফলেই এই পোস্টটা লাগানো হয়েছিল টিকিট কাউন্টারে।কৃষ্ণনগর থেকে শিয়ালদা যাওয়ার ট্রেনের রুটে চাকদহ স্টেশন অত্যন্ত জনবহুল ও জনপ্রিয় একটি স্টেশন হিসেবে পরিচিত।প্রতিদিন বিশেষ করে অফিস টাইমে হাজার হাজার লোক যাতায়াত করেন এই স্টেশন থেকে।
অনলাইন সুবিধা থাকার পরেও আজও অনেকের স্মার্টফোন এবং ডেবিট কার্ড না থাকায় আজও স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে পরে লম্বা লাইন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ চাকদহ স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে মাঝেমধ্যেই আজকাল এই পোস্টার দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তার কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে কর্মী না থাকার কারণে অসহায় রেলকর্মীরা।কর্মী সঙ্কটের কারণে কখনো কখনো বাড়তি সময় ডিউটি করতে হচ্ছে তাদের। এমনকি তারা বাথরুমে যাওয়ার পর্যন্ত সময় পাচ্ছে না তারা,আর সেই কারণেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রীতিমতো বাধ্য হয়ে টিকিট কাউন্টারের জালানায় পোস্টার লাগিয়ে তারপর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাচ্ছেন তারা।পূর্ব রেল সূত্রে খবর গত সোমবার দুপুরে শিয়ালদহ মেন শাখার চাকদহ টিকিট কাউন্টার কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান রেল কর্মী।টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা লিখে রেখে দিয়ে যান কাউন্টারের সামনে। কিন্তু অপেক্ষারত যাত্রীদের প্রশ্ন,, কেন রেল দপ্তরে বাড়তি কর্মী নেই? এই অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। অনেকেই ওই পিচবোর্ডে লেখার ছবি তুলে ছড়িয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায় যা বর্তমানে ভাইরাল!
তবে ওই ছবিটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে ট্রোল করার জন্য বিভিন্ন স্টেশনের বলে পোস্ট করে জনপ্রিয়তা লাভ করার চেষ্টা করছে অনেকেই অনেকেই এর তীব্র কটাক্ষও করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দে বলেন, নিত্যযাত্রীদের মতামতে। তারা অবশ্য এর পেছনে খারাপ কিছু দেখছেন না বরং ওই রেল কর্মীর সততার এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছেন বলেই মনে করছেন তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct