রঙ্গিলা খাতুন, বহরমপুর, আপনজন: এক গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে ৩ জুলাই বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু সিরাজউদ্দৌলার স্মরণ সমিতি এই দিনটিকে তাঁর মৃত্যু দিন কিংবা প্রয়াণ দিবস বলতে নারাজ, বরং সিরাজকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহিদ বলে তারা দাবি করেন। এর সপক্ষে ইতিহাসের গবেষকদের তথ্য প্রমান দিয়ে তারা এক দশকের কিছু বেশি সময় ধরে এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বেশ কয়েক বছর যাবৎ সিরাজের মৃত্যু দিনকে শহিদ দিবশ হিসেবে পালন করে আসছে নবাব সিরাজ উদ দৌলা স্মরণ সমিতি।
মুর্শিদাবাদের খোশবাগে কবিতায়, গানে, আলোচনার মধ্য দিয়ে পালিত হল বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ- দৌলার প্রয়াণ দিবস। বুধবার, ৩ জুলাই ছিল নবাব সিরাজ-উদ- দৌলার ২৬৮ তম মৃত্যুদিন। সেই উপলক্ষে এ দিন সকাল ১১ টা নাগাদ নবাব সিরাজ উদ দৌলাহ স্মরণ সমেতির পক্ষ থেকে নবাবের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিনের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবাব সিরাজ উদ দৌলাহ স্মরণ সমিতর পক্ষ এবং বিশ্বকোষ পরিষদের সদস্যবৃন্দ সহ অনেকে।
এদিন শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে দাবি তোলা হয় সিরাজের সঠিক মূল্যায়ন ও তাঁর যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হোক। তবে বিশ্বকোষ পরিষদ নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার প্রয়াণের এই দিনটিকে তাঁর মৃত্যুদিন কিংবা প্রয়াণ দিবস বলতে নারাজ। বরং সিরাজকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শহিদ বলে দাবি করেন তাঁরা। তাই ৩ জুলাই সিরাজ-উদ-দৌলার প্রয়াণ দিবস’কে রাজ্যে শহিদ দিবস পালনের দাবি জানায় তারা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ,সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ইমরান সাহেব, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আলিমুজ্জমান, নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সমঋতা মল্লিক ,সাংবাদিক সংঘের বিপ্লব বিশ্বাস, ইমাম সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মাওলানা নিজামুদ্দিন বিশ্বাস, কবি নওশাদ খান, স্মরণ সমিতির সভাপতি সনৎ কর সহ আরো অনেক গুণীজন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct