নিজস্ব প্রতিবেদক, বারাসত, আপনজন: বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে একটা পুকুর যে এলাকা কে কতটা শান্ত রাখতে পারে আছে তা বোধহয় মানুষ মনে রাখতে পারেন না। অনেক আগে বারাসাত শহরে নদী ছিল কিন্তু সেই সব নদী আজ খাল কিংবা ড্রেনে পরিণত হয়েছে। উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণে বারাসত শহরে রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটা পুকুর। কিন্তু সেই পুকুরও ভরাট হতে চলেছে। একের পর এক পুকুর বারাসাত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ভরাট হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বারাসাত কাজীপাড়ার রেল গেটের আগে যশোর রোডের গায়ে নন্দগড় এর পুকুর।
আনুমানিক প্রায় সাড়ে সাত বিঘা জমির উপরে এই পুকুর। যা এখন সম্পূর্ণটা মাটি হয়ে গেছে অর্থাৎ জমি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর থেকে রাস্তা বার করে প্লটিং করা হচ্ছে। এই পুকুর পুনরায় পুকুরের মতো করে ফিরিয়ে দিতে হবে এমন আন্দোলনে বারাসাতে যেসব মানুষজন রয়েছেন তারে এসে দাবী করেন পুকুর খুঁড়ে পুকুরের জায়গা ফিরিয়ে দিতে হবে এবং আরো জানান গত এক সপ্তাহ আগে জমির মালিক কে চিঠি দিয়ে নোটিশ করেছে পৌরসভা। কিন্তু মালিকপক্ষ পৌরসভার এই নোটিশের বিরুদ্ধে আবার হাইকোর্টে যাবেন এমনটা জানিয়েছেন সংবাদ মধ্যম কে। কারণ তারা দাবি করছেন এই জমি পুকুর নয়, আসলে ডাঙ্গা ইটখোলা হিসেবে উল্লেখ আছে।
২০১৩ সাল থেকে এই পুকুর ভরাটার চেষ্টা চালাচ্ছে মালিকপক্ষ ২০২১ সালে এই পুকুর। ভড়াটের অভিযোগ আছে বি এল আর দফতরে। তার পরিপ্রেক্ষিতে পুকুর ভরাটের কাজ স্থগিত করেন কিন্তু বারবার বন্ধ এবং স্থগিত করার ফলে বি এল আর ও বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাই মালিকপক্ষ। বি এল আর ও দেওয়া স্থগিতাদেশ এর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ বার করে নিয়ে আসে হাইকোর্ট থেকে। সেই স্থগিতাদেশে বি এল আর ও র না থাকার সুবিধা নিয়ে গোটা পুকুরটা জমি করে ফেলেছেন মালিকপক্ষ। কার গাফিলতিতে এত বড় পুকুর জমি হয়ে গেল এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উল্টোদিকে পুকুর নতুন করে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন যখন বড় হচ্ছে আর তখনই পুরসভা পুকুর খুঁড়ে ফেলার নোটিশ দেয়। কিন্তু তাও মানতে রাজি নন মালিক পক্ষ। যদিও বি এল আরও র দাবি তিনি শেষ লড়াই পর্যন্ত লড়বেন। এই নিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ করেছে বিরোধীরা ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct