জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: পকসো মামলায় অভিযুক্ত হোমের সভাপতিকে নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধে গেল অভিভাবক ও চাইল্ড প্রোটেকশন দফতরের লোকজনের মধ্যে। পুলিশ গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চন্দননগরের প্রবর্তক সেবা নিকেতন হোম। ভাঙচুরও চলে। হোমে থাকা পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে পুলিশের উপর ইটবৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা পুলিশকেও লাঠি উঁচিয়ে পড়ুয়াদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। অভিভাবকদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতে হোমের বেশ কয়েকজন ছাত্রী আহত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, চন্দননগরের প্রবর্তক হোমের দেখভাল করেন পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায়। এই হোম সরকারি অনুদান প্রাপ্ত। হোমের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে আছেন পরিমল। এই হোমের দুটি ব্লক রয়েছে। একটি ব্লকে দুঃস্থ পরিবার থেকে আসা ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। অন্য ব্লকে থাকে চাইল্ড প্রোটেকশন দফতর থেকে আসা উদ্ধার হওয়া মেয়েরা। কয়েকদিন আগেই চাইল্ড প্রোটেকশন আধিকারিকরা ওই হোমের পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা জানতে পারেন উদ্ধার হওয়া মেয়েদের মধ্যে একজনের সঙ্গে হোমের ওই পরিচালক দুর্ব্যবহার করেছেন। শুক্রবার সরকারি আধিকারিকরা উত্তরপাড়ার একটি হোমে গিয়ে ওই অভিযোগকারিণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারপর থেকেই পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় আর হোমে যাচ্ছিলেন না। অভিভাবকদের দাবি, তাঁরা খুবই দরিদ্র। শিক্ষা ও দেখভালের জন্য তাঁরা সন্তানদের এখানে রেখেছেন। পরিমল তাঁদের মেয়েদের ভালভাবেই খেয়াল রাখেন। কিন্তু পরিমল কোথায় গেছেন কিছুই বুঝতে পারছেন না তাঁরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct