মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন:  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় প্রশাসনিক বৈঠকে  হুঁশিয়ারির পর রাজ্যজুড়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছিলেন নেতা হোক বা পুলিশ  কাওকে  ছাড় দেয়া যাবে না। যে সমস্ত সাধারণ মানুষ অন্যায়ের বিচার চাইতে আসবেন। যারা সহযোগিতায় হাত বাড়াবেন না। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবেন এমনই বক্তব্য রাখার পর থেকে জেলায় জেলায় আরো তৎপর হলো প্রশাসন।  বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বর্ধমান বিদ্যাপিঠ  স্কুলে জল প্রকল্পে উদ্বোধন করতে এসে বর্ধমান জেলার নেতাদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ বক্তব্য রাখলেন। তিনি বললেন সেই সমস্ত নেতাদের আশেপাশে বহু মানুষ ঘুরে বেড়ায় যারা অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত। নিজের সুবিধা পাওয়ার জন্য ধান্দাবাজি নেতাদের সঙ্গে আশেপাশে ঘুরে বেড়ান সেই সমস্ত নেতাদের বলা হয় দাদা কিংবা কাকা ।এবার আর  কোন নেতাকে ছাড় দেয়া যাবে না ।যে সমস্ত নেতারা অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে করা  পদক্ষেপ নেওয়া হবে।, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার আরো বলেন বর্ধমান শহরে উন্নয়ন অনেকটাই কাজ হচ্ছে কিন্তু কিছু নেতারা নিজের পকেট ভর্তি করতে উন্নয়নের কাজকে স্থগিত রেখে নিজের কাজ গুছিয়ে নিচ্ছেন। আর সেই কারণেই তাদের আশেপাশে দেখা যায় বহু মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে যারা বেআইনি ঘর বাড়ি তৈরি করছে। বেআইনি বালি তুলছে  তাদের ব্যবসা চালানোর জন্য সুযোগ করে  দেয়া হচ্ছে। ওই সমস্ত ব্যবসাদাররা অসামাজিক কাজকর্মের সাথে যুক্ত সেই সমস্ত নেতাদের সাথে আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাতে মানুষ ভাবছে নেতার পেছনে বহু মানুষ আছে।  নিজের স্বার্থ মেটানোর জন্যই সেই সমস্ত মানুষরা নেতার সঙ্গে ২৪ ঘন্টা থাকেন। চেয়ারম্যান আরো বলেন আমার বয়স হয়ে গেছে আমি কিছু নিয়ে যাব না ।এক বছরের মধ্যে আমার পরিবারের তিনজন দেহ ত্যাগ করেছে। আমি যতদিন আছি ততদিন মানুষের জন্য কাজ করে যাব। আর একাজে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

বিশ্ব শান্তির বার্তা দিয়ে সমাপ্ত হল ফুরফুরা শরীফের ঐতিহাসিক ঈসালে সওয়াব

‘নো ফুড, নো ওয়াটার’ ফিলিস্তিনি শিশুর আত্মচিৎকারের ভিডিও ভাইরাল!

মমতার ভুয়ো ভোটার দাবি খন্ডন নির্বাচন কমিশনের