আপনজন ডেস্ক: সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা ইউজিতে গ্রেস মার্কস দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর পুনরায় গ্রেস পাওয়া পরীক্ষার্থীদের রবিবার ফের পরীক্ষার আয়োজন করে এনটিএ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এনইইটি-ইউজি-তে যে ১,৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী গ্রেস মার্কস পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ৮১৩ জন রবিবার পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাতটি কেন্দ্রে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল।
গত ৫ মে যে ছয়টি কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল, সেখানকার সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়।
পুনঃপরীক্ষায় বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রে উপস্থিতির হারে ভিন্নতা দেখা গেছে। গুজরাটে সর্বাধিক উপস্থিতি ১০০% রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে চণ্ডীগড়ে ০% সর্বনিম্ন উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ে (কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল) দুই যোগ্য প্রার্থীর কেউই উপস্থিত হননি। ছত্তিশগড়ে ৬০২ জন যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে ২৯১ জন (৪৮.৩৪%) পরীক্ষা দিয়েছেন। গুজরাটের সুরাটে একজন যোগ্য প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন, তিনি ১০০% উপস্থিতির হার অর্জন করেছিলেন। হরিয়ানার ঝাজ্জরে, ডিএভি পুলিশ পাবলিক স্কুল এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ৪৯৪ জনের মধ্যে ২৮৭ জন (৫৮.০৯%) যোগ্য প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। মেঘালয়ে ৪৬৪ জন যোগ্য পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৪ জন (৫০.৪৩%) পরীক্ষায় বসেছিলেন।
মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে তীব্র বিতর্কের মধ্যে নিট আয়োজক সংস্থা এনটিএ নিট পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে ৬৩জনকে বাতিল করেছে। অসৎ উপায় অবলম্বনে গুজরাত ছাপিয়ে গিয়েছে বিহারকে। নিষেধাজ্ঞায় পড়া সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী গুজরাত রাজ্যের। এনটিএ রবিবার বিহারের কেন্দ্রগুলিতে ৫ মে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৭ জন পরীক্ষার্থীকে নিষিদ্ধ করেছে। তার আগে গুজরাতের গোধারা থেকে ৩০ জন অতিরিক্ত প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই সব পরীক্ষার্থীদের কারও দু বছর, কারও এক বছর পরীক্ষায় বসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct