নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: স্বাধীনতার ৭৭ বছরেও পাকা হয়নি কাঁচা রাস্তা। দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাদা জমে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা,হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। একটু বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থী ও বয়স্করা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। হেলদোল নেই প্রশাসন ও নেতৃত্বদের। ক্ষোভ এলাকায়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাররা গ্রামে তিন কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। বাংলা বিহার সংযোগকারী ১০ টি গ্রামের মানুষের এই রাস্তাই একমাত্র ভরসা। এই রাস্তা দিয়ে বাংলার মিলনগড়, চোচপাড়া, চন্ডিপুরা,মাধাইপুরা,ভাটল,খড়মপুর ও বিহারের নেমল,ফুদগিপুর, আজিমনগর রেল স্টেশন,সালমারি ও কাটিহার সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তবে এই রাস্তায় দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্ত। সাইকেল যাওয়া তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে যাওয়ারও পরিস্থিতি এখন নেই। দীর্ঘ ৭৭ বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায় কাঁদা ডিঙিয়ে বিদ্যালয় ও কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক নেতারা রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর পাকা করার উদ্যোগ নেয়া হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকবাসী। মাটির রাস্তা পিছল হয়ে যাওয়া প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটে। এই কাঁচা রাস্তা পাকা করার জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে গ্রামবাসীরা দাবি জানিয়ে আসছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ রাকিব বলেন,এই কাঁচা রাস্তা পাঁকা করার দাবি জানিয়ে স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন কে একাধিকবার জানানো হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে দিদিকে বল তে ফোন করে জানিয়ে ছিলাম। ব্লক প্রশাসন থেকে তদন্তে এসেও ছিল। তারপর থেকেও ওই অবস্থায় রাস্তাটি পড়ে রয়েছে। মোমতাজ আলি,মহম্মদ দিলসাদ রাজা ও মুন্সি সরেনরা বলেন,এই কঙ্কালসার রাস্তার জন্য গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ও দমকল গাড়ি ঢুকতে পারে না। রোগী বা গর্ভবতী মায়েদের খাটিয়াতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। স্কুলের পড়ুয়ারা সাইকেল নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যেতে পারে না।
বর্ষার সময় ২৫ কিলোমিটার ঘুরে যানবাহন চালকদের যাতায়াত করতে হয়। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এর বিডিও সৌমেন মন্ডল বলেন,রাস্তাটি তদন্ত করে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মালদহ জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, লোকসভা ভোটের আগে ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়ে রাস্তাটি মাপজোক করা হয়েছে। স্টেট ফিনান্সের স্কিমে রাস্তাটি ধরা হয়েছে। ৩.৭ কিলোমিটার রাস্তাটি বছর খানেকের মধ্যে পাকা করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct