সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: আমাদের আসেসমেন্ট নিয়ে একটা বৈঠক করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম যে বাড়ির কোনো মালিকানা নেই সেটা সরকারের সম্পত্তি। একটা অসাধু চক্র সরকারি জমি কে দখল করছে। যত জমি আছে তার অ্যাসেমেন্ট কলকাতা পৌর সংস্থার নামে রাখতে হবে। কলকাতা মধ্যে যাতে সরকারি সম্পত্তি লুট না হয় তার জন্য প্রয়াস করা হচ্ছে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সরকারি জমি দখল নিয়ে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই শুক্রবার তৎপর হয় কলকাতা পৌরসভা। মেয়র বলেন, সরকারি জমি যদি একটা বেসরকারি সংস্থাকে হস্তান্তর করা হলে কি হবে। তার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি আলাদা ভাবে অ্যাসেসমেন্ট অফ ইউনিট এরিয়া করা হবে। আর একটা সমস্যা হচ্ছে রুফ রাইট নিয়ে। আগে ছাদকে ফাঁকা রাখা হত। এখন ছাদ বিক্রি করার একটা প্রবণতা বাড়ছে। হাই কোর্ট বলল যে হুক্কা বার রাখা যাবে। আমরা পক্ষ থেকে একটা সমীক্ষা চালিয়ে এই ধরনের বেআইনি হলে ভেঙে দেওয়া হবে। ছাদ হচ্ছে সবার জন্য। তাই আমরা চেষ্টা করছি। কারণ স্টিফেন কোর্টের ঘটনা শুধু ছাদ বন্ধ থাকার জন্য হয়েছিল। ছাদ যদি আপৎকালীন ব্যাবহার না করা হয়,তাহলে মানুষ কোথায় যাবে বলে প্রশ্ন তোলেন মেয়র। আমার কাছে উত্তর নেই আমি কোথায় লাইসেন্স আছে কি না সেটা খুঁটিয়ে দেখতে বলেছি। আমি KEIP কে বলেছি অবিলম্বে কাজ করতে হবে নাহলে বলব বাড়ি যান। সময় মত কাজ শেষ করতে হবে। তাঁতিয়া ব্ল্যাকলিস্ট হয়ে গেছে। রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছে সেটা নিয়ে বৈঠক ও করেছি। ছোট কাজ ভেঙে করতে হবে যাতে স্থানীয় কন্ট্রাক্টর রা কাজ পায়। নাহলে আমরা লোন নেব না। জলের অভাব সেই রকম নেই একসময় জলের অভাব আছে । অনেক টা ঠিক হয়েছে। আমরা জলের ক্ষমতা বাড়ানো চেষ্টা করছি। এক থেকে ১০০ টা ওয়ার্ডে জমি সংস্কারের আওতায় নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এটা নিয়ে সমর্থন করছেন। নবান্ন হাই পাওয়ার কমিটি নিয়ে মেয়র বলেন যে ,আমরা হকার নিয়ে সহানুভূতিশীল কিন্তু যত্রতত্র বসে জায়গায় কে নোংরা করব । সেটা হবে না। কারণ ফুটপাত দখল করে রাখলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে না। বেলাগাম থাকবে না হকাররা। রাস্তার উপরে একটা বেআইনি গোডাউন হয়ে গেছে। ১০৯ রাজপুর সোনারপুর অনেক জায়গায় বেআইনি নির্মাণ হয়ে যাচ্ছে। এই জমি পরিবেশ দফতরের অধীনে রয়েছে। সব কটা জমি কলকাতা পৌর সংস্থার অধীনে নয়। এটা প্রশাসন পুলিশ এবং পরিবেশ দফতর কে দেখতে হবে। আমরা অনেক গুলি জমি উদ্ধার করে নিয়েছি বলে জানান মেয়র। অনেকে পুরসভায় ভ্যাটে নোংরা ফেলছে না। তাঁরা ভাগার তৈরি করে ফেলছে। এই সমস্যা অনেক জায়গায় হচ্ছে। আমাদের ধাপা রয়েছে। কিন্তু অন্য পৌর সংস্থার গুলিতে নোংরা ফেলার জন্য জমি নেই বলে জানান মেয়র। জমি খোঁজা হচ্ছে। কিন্তু আবার দেখা যাচ্ছে তার পাশের জমি কেউ না কেউ কিনে নিচ্ছে। আর বাড়ি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
মেয়র আরো জানান,একমাস করে শিয়ালদহ সেতু সংস্কারের কাজ পুজোর আগে এবং পুজোর পরে করব তার জন্য একমাস দোকান বন্ধ রাখতে হবে নাহলে আমরা কাজ করব কি করে। আমাদের শিয়ালদহ সেতুকে সংস্কার করার জন্য বন্ধ রাখতেই হবে। শিয়ালদহ এত বড় জায়গা নয়। বিদ্যাপতি সেতু সংস্কারের কাজ অনেক দিন চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনটে ভাগে কাজ করলেই আমাদের শিয়ালদহ সেতু কাজ সম্পূর্ন করার কাজ হবে বলে জানান মেয়র। শিয়ালদহ সেতুর উপর ট্রাম লাইন সারিয়ে দেওয়া হবে। আদালতে মামলা রয়েছে। আমরা কাউন্সিলর মানুষের সেবক। আমরা মানুষকে পরিষেবা দেব। মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে বলেই আমি কাউন্সিলর। মানুষ পরিষেবা পেতে ভোট দিয়েছে। তাই কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেছি। আমি মেজাজ হারাব সেটা কাম্য নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct