আপনজন ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কারণ পর্যালোচনা করতে শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকের পর অধীর রঞ্জন চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
তবে তাঁর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে।
তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে অধীর চৌধুরী বলেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি হওয়ার পর থেকে কোনও রাজ্য সভাপতি ছিলেন না। এখন পূর্ণকালীন সভাপতি নিযুক্ত হলে আপনারা সবাই তা জানতে পারবেন।
ঘটনাচক্রে, কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম রাজ্য সচিবালয় নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৩৫ মিনিটের বৈঠকের একদিন পরেই এই ঘোষণা করলেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রের পাঁচবারের লোকসভা সাংসদ অধীর চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসের সেলিব্রিটি প্রার্থী তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হয়েছেন। তৃণমূলের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই হাইকমান্ডের সঙ্গে অধীর চৌধুরীর মতবিরোধের খবর শোনা যাচ্ছিল। সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে বরাবরই সোচ্চার অধীর চৌধুরী। লোকসভা ভোটের সময়ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এসেছিল। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে দুটি নাম উঠে আসছে। একটি হল মালদহ-দক্ষিণ কেন্দ্রের বর্তমান লোকসভা সাংসদ, বাংলায় কংগ্রেসের একমাত্র লোকসভা সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। আর অন্যজন হলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ১৪ বছর অধীরঞ্জন চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ সামলেছেন ৷ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাও ছিলেন অধীর ৷ এর আগে মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি পদেই ছিলেন তিনি ৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct