চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, মথুরাপুর, আপনজন: ভোটপর্ব মিটে গেলেও এখনো বহু স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার কারনে।আর এই বাহিনীর থাকা স্কুলগুলো যেন নরক গুলজার।আর স্কুল খুললে পঠনপাঠন নিয়ে চিন্তায় শিক্ষকেরা।স্কুল চত্বর গুলিতে গেলেই দেখা মিলছে চার দিকে খাবার ও খাবারের প্যাকেট পড়ে আছে। ক্লাসরুমে বেঞ্চ ভাঙা, আবর্জনায় ভর্তি। খারাপ হয়ে গিয়েছে পানীয় জলের কল,পাখা সহ অন্যান্য ইলেকট্রিক সামগ্রী।ভোটপর্বে ব্যবহার করা হয়েছিল একাধিক স্কুল। কিন্তু সেই ভোটপর্ব মিটেগেলেও এখনও নির্বাচনী প্রয়োজনে গড়ে তোলা পরিকাঠামো সরানো হয়নি বহু স্কুল থেকে। ফলে স্কুল খুললে পঠনপাঠন কীভাবে চলবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নির্বাচন মেটার পর এমনই পরিস্থিতি ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া অনেক স্কুলের। কোনও কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিজেরাই পরিষ্কার করে নিয়েছেন। যে সব স্কুলে শুধু ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হয়েছিল সেখানকার পরিস্থিতি তুলনায় ভাল। তবে ভোটের জন্য যে সব স্কুলে দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, কিংবা যেখানে গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল তাদের পরিস্থিতি রীতিমতো বেহাল।এই নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের প্রধান শিক্ষক সংগঠণের সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি। তিনি বলেন, রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে স্কুলের বেহাল অবস্থার খবর আসছে। নিজের কৃষ্ণচন্দ্রপুর স্কুল চত্বরের পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল নয়।কারণ এই স্কুলে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের গণনা কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিলো।তাই প্রশাসনকে বলব দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য।নির্বাচন পর্ব মিটে গেছে এবার স্কুল গুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct