সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: মোবাইল টাওয়ার থেকে ছড়ায় দূষণ। দেখা দেয় নানান শারীরিক সমস্যা। এই অভিযোগে এলাকায় নির্মীয়মাণ মোবাইল টাওয়ার সরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন ধূপগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত মাগুরমারি ১নং গ্রাম পঞ্চয়েতের বামনী ব্রিজ এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ির বামনী ব্রিজ এলাকায় একটি মোবাইল সংযোগদাতা সংস্থার টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজ শুরুর পরেই এলাকাবাসীদের তরফে পাড়ায় এই টাওয়ার বসানোর ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশ অমান্য করে জনবহুল এলাকায় টাওয়ার বসানো যাবে না। যদি একান্তই টাওয়ার বসাতে হয়, তা জনবসতিহীন জায়গায় বসাতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দা রূপা মজুমদার বলেন, “এলাকায় বহু বয়স্ক মানুষ এবং শিশু থাকেন। আমরা চাই, তাঁদের কথা ভেবে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।”মোবাইল টাওয়ার থেকে বেরোনো তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ থেকে কী কী ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়ে সমীক্ষার জন্য টেলিকম, পরিবেশ এবং জৈব-প্রযুক্তি মন্ত্রকের কর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১২ সালের মাঝামাঝি রিপোর্ট দিয়েছিল এই কমিটি। তাতে বলা হয়েছিল, জনবসতির মধ্যে থাকা টাওয়ারগুলি থেকে যে বিকিরণ হয়, মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রে তার কুপ্রভাব পড়ে। দেখা দেয় অবসাদ। কমে যায় স্মৃতিশক্তি ও হজমের ক্ষমতা। সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় শিশু, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীদের।শুধু মানুষ নয়, মোবাইল টাওয়ারের বিকিরণ প্রভাব ফেলে পশুপাখির উপরে। ওই কমিটি জনবহুল এলাকা থেকে মোবাইল টাওয়ার সরিয়ে ফেলা অথবা তাদের শক্তি কমানোর পরামর্শ দিয়েছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct