নিজস্ব প্রতিবেদক, মালদা, আপনজন: ছেলেদের টেক্কা দিয়ে কার্যত নিটে সাফল্য পাচ্ছে মেয়েরাও। শিরোনামে উঠছে ও খুশির খবর আব্দুল খানের পরিবারে। মালদহের বাসিন্দা তথা তরুণী ইসরা খান এবার সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় ১১০০ স্থান দখল করে তাক লাগিয়েছে। এবার প্রায় ২৫ লাখ পরীক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দিয়েছিল।নিটে ৭২০ এর মধ্যে ৭০৫ নম্বর পেয়েছে ইসরা খান, মেয়েদের মধ্যে ভালো জায়গা করেছে ও নজর কাড়ল ইসরা খান। ইসরা খানের ছোট থেকেই ডাক্তারী পড়াশোনায় ইচ্ছে ছিল। ইচ্ছা ও পরিশ্রমকে হাতিয়ার করে ডাক্তারি নিটে সাফল্য পেয়ে ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ায় খুশি ইসরা খান থেকে পরিবার। ইসরা খানের বাবা ড. আব্দুল খান কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক। মা নুসরাত রহমান শিক্ষিকা। বাড়ি মালদা জেলার নূরপুরে। ইসরা খান বাবার কর্ম সূত্রে পরিবারের সাথে কলকাতায় রয়েছেন। কলকাতায় চলে আসেন ও ভরতি হন। মালদহের বার্লো বালিকা বিদ্যালয় থেকে একাদশ শ্রেণী পাস করে সল্টলেকের বিধাননগর গভমেন্ট স্কুল থেকে ২০২৩ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৭৮ নম্বর পেয়ে নজর কাড়ে। এছাড়া জগদীশ বোস সিনিয়ার বিজ্ঞানী কন্যা মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় নবম স্থান অধিকার করেছিল। বরাবরই পড়াশোনায় মেধাবী ইসরা খান। এরপর একবছর চলতে থাকে ইসরা খানের নিট প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি। কোচিং এর পাশাপাশি মা-বাবার কাছে টিপস এবং মক টেস্ট এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে। ছাত্রী ইসরা খানের কথায়, শুরু থেকেই পরিশ্রম আর পড়াশোনা যতটুকু করণীয় করেছি এবং পড়াশোনার ফাঁকে গোয়েন্দামূলক গল্পের বই পড়ি ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার সেটা পুরন হওয়ায় খুশি। অধ্যাপক আব্দুল খান জানায়, আমার কাছে ছেলে মেয়ে সমান। আমার দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে ইসরা খান নিটে সাফল্য পেল। মেয়েরা নিট বা ভালো ক্ষেত্রে সাফল্য পেলে পরিবার সমাজ দেশের গর্ব। ইসরা ও আমাদের গর্বিত করেছে। আরেক ছোট মেয়ে সারা খান একই স্কুল থেকে এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৭২ নম্বর পেয়েছে, আইআইটি জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রে আজ এগিয়ে যাচ্ছে। বড় মেয়ের ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে খুশি গোটা পরিবার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct