জে এ সেখ, বর্ধমান, আপনজন: বঙ্গ রাজনীতিতে বিজেপির দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু পূর্ববর্তী জামানায় ছিলেন একচ্ছত্র এক নাম। ২০১৯ লোকসভায় তারই নেতৃত্বে বিজেপি ১৮টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন। দিলীপ ঘোষ এখন দলে কার্যত কোণঠাসা। গত লোকসভায় মেদিনীপুরের জেতা আসন থেকে তাঁকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী করেছিল দল। গতবার এই কেন্দ্রে খুব কম ভোটে বিজেপিই জয়লাভ করেছিল যদিও। কিন্তু এই আসন কে বিজেপি কঠিন মানতে চায়নি। হয়ত কর্মী সমর্থকদের চাঙ্গা রাখতে! যদিও এবারে লক্ষাধিক ভোটে হারের পর দিলীপ বাবু এটিকে “কঠিন আসন” বলেই স্বীকার করে নেন বুধবার কলকাতায়। হার নিয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে কিছুই অসম্ভব নয়। আমি পুরো পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল। এবারে আশাও করেছিলাম সবাই। আমার মনে হয় কোথাও কোনো ফাঁক থেকেছে। লড়াই সেভাবে হয়নি। সব কর্মীরা নামেনি। এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দরকার আছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন তাহলে দিলীপ ঘোষকে জেতাতে দলের সবাই এককাট্টা হল না? অন্তর্ঘাত? নাকি আরএসএস অনুরাগী দিলীপ ঘোষ কে ছাঁটার রাস্তা তৈরি করা?চোখে মুখে হতাশার ছবি নিয়ে তিনি আরোও বলেন, আরো ভালো ফল হওয়া উচিত ছিল। সেটা হয়নি। সারা পশ্চিমবাংলা তথা সারা ভারতবর্ষে নেগেটিভ হয়েছে। অযোধ্যার হার নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, যে অযোধ্যার লোক রামকেই ছাড়েনি। সীতাকেও বনবাসে পাঠিয়েছে। তো মোদিকে! নাইডু আর নিতীশবাবুর মতো পল্টুরাম যারা আছেন, তাদের উপর ভরসা করা তো বেইমানি। এতে ঠকতে হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির বাধ্যবাধকতা থাকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct