জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: রচনা জিতলেও ভোটের ফল বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, চুঁচুড়ায় তৃণমূল প্রার্থীর থেকে বেশি ৮২৮৪ ভোট বেশি পেয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়।বিজেপির হাতে থাকা আসন। তার উপর আবার দুই অভিনেত্রীর সম্মানের লড়াই ছিল হুগলিতে। শেষ পর্যন্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতলেও তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মাথাচাড়া দিল হুগলির লোকসভা কেন্দ্রের চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায়। রচনা ভোটে জিতলেও চুঁচুড়ায় ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের একাধিক পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান। হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় ৭৭ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা জিতলেও ভোটের ফল বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, চুঁচুড়ায় তৃণমূল প্রার্থীর থেকে বেশি ৮২৮৪ ভোট বেশি পেয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। যদিও গত বিধানসভা নির্বাচনে চুঁচুড়ায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূলই। ফলে, রচনা জয় পেলেও চুঁচুড়ার তৃণমূল নেতাকর্মীদের আনন্দ ফিকে হয়ে যায়। চুঁচুড়া ছাড়াও বলাগড় এবং সপ্তগ্রাম বিধানসভা এলাকাতেও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল।তৃণমূল সূত্রে খবর, হারের কারণ পর্যালোচনা করতে চুঁচুড়া বিধানসভার অন্তর্গত ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, কোদালিয়া-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। সূত্রের খবর, চুঁচুড়ার বিধায়ক দলেরই প্রধান, উপপ্রধান সহ জন প্রতিনিধিদের হারের কারণে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁদের বিধায়ক অপমানিত করেন বলেও অভিযোগ।চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘মানুষের সঙ্গে বিশেষ করে দলের কর্মী কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের ফল এটা। কাউন্সিলরদের সঙ্গে কুকুর ছাগলের মতো ব্যবহার করেন বিধায়ক। তাই এই পরাজয় হয়েছে।’ ঝন্টু বিশ্বাসের দাবি, এ ভাবে চললে চুঁচুড়ায় দল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরবে।যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘চারটি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধান পদত্যাগ করেছেন। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই কারণ তাঁদের বিবেক আছে। তাঁরা পদে থাকা অবস্থায় দলের পরাজয় হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। কেন এমন হল, তা নিয়ে বসে পর্যালোচনা করব।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct