নকীব উদ্দিন গাজী, মথুরাপুর, আপনজন: মৎস্যজীবী পরিবার থেকে উঠে আসা ছাত্র রাজনীতি করে পঞ্চায়েতের সদস্য সরাসরি এবারে দিল্লির পার্লামেন্টের সদস্য হলেন মথুরাপুরের সুন্দরবনের প্রত্যন্ত সদিয়াল গ্রামের ছেলে বাপি হালদার। বাবা ছিলেন মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেন। বাপি হালদার ছোটবেলা থেকে পরোউপকারী ছিলেন গ্রামের কিছু হলে এগিয়ে যেতেন, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছিল তার অভ্যাস। এরপরে ছাত্র জীবনে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল তার আদর্শ। পার্টি অন্ত প্রাণ ছিল বাপি হালদারের, দল ঠিক করে ২০১৩ সালে পঞ্চায়েতের প্রার্থী। সদিয়াল গ্রাম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হোন বাপি হালদার। এলাকার পরিচিত যুবক বিপদে আপদেই গ্রামের মানুষের সঙ্গেই সব সময় থাকতো তাই বাপি হালদারকে পিছনে তাকাতে হয়নি প্রথমবারই তিনি জয়লাভ করেন। তারপরেই কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য হওয়ার পর ২০১৫ তে তিনি ওই পঞ্চায়েতে প্রদান হন। প্রধান হবার পর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন করার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে একের পর এক উন্নয়ন করতে লাগলো।পানীয় জলের সমস্যা ছিল সদিয়াল গ্রামে নিজের উদ্যোগে সাবমশাল বসিয়ে তিন টাইম পানীয় জলের পৌঁছে দেয় মানুষের বাড়ি বাড়ি।নিজের গ্রামকে আদর্শ গ্রাম করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা, তৈরি করে ঢালাই রাস্তা রাস্তার দুপাশে লাগিয়ে ছিল গ্রামের ত্রিফলা লাইট। এইভাবে কাজ করতে করতে পাঁচটা বছর কেটে যায় আবার আসে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেই নির্বাচনে বাপি হালদার জয়লাভ করে মহিলা প্রধান হওয়ার জন্য তিনি প্রধান হতে পারেনি। তাই তিনি সঞ্চালক হয়েছিলেন এরপর। একের পর এক কাজ সাংগঠনিক দক্ষতা দেখাতে থাকেন বাপি, এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নজরে পরে বাপি, প্রথমে যুব সভাপতি করা হয় ব্লকের, ততক্ষণ বাপি হালদারের রায়দিঘি বিধানসভা প্রতিটি গ্রামের মানুষ চিনতে শুরু করে। সাংগঠনিকভাবে একের পর এক কাজ করে থেকে।তর তাজা যুবক বাপি হালদার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে যায় যুব সংগঠন আরো মজবুত করে। এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলা হিসেবে আলাদা সংগঠন হয়। জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি দায়িত্ব পান বাপি হালদার।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct