আপনজন ডেস্ক: দ্যা ইন্টারন্যাশনাল মিশন ফর সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড চ্যারিটি (ইমস্চ) এর উদ্যোগে ২২শে মে বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার অধীন রানিয়াছল, ভেলানগর এবং নারায়ণপুর গ্রামে ৪৪ তম বর্ষ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এইচ.আই.ভি. এবং এইট্স প্রতিরোধ, গর্ভবতী মা থেকে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এইট্স সংক্রমণ প্রতিরোধ, বিনামূল্যে চিকিৎসা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৬৮৩ জন মা, শিশু অংশ নেয়। ২৩শে মে ২০২৪ বাংলাদেশের বড়াইগ্রাম, হাড়িগাছা এবং কেঁচুয়াকোড়া গ্রামে এস.টি.ডি. এবং এইট্স নিয়ন্ত্রণ, যৌনকর্মীদের যৌনতার বাণিজ্যিক উপযোগ নিরোধক, যৌনস্বাস্থ্য পরিষেবা, সচেতনা, সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, ক্যাংক্রয়েড সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৭৬৫ জন গ্রামবাসী এবং যৌনকর্মী অংশগ্রহণ করে। ২৪শে মে ২০২৪ নেপাল রাষ্ট্রের অন্তর্গত গুলমি জেলার অধীন অমরপুর, রিদি এবং বাদাগাউন গ্রামে এইচ.আই.ভি. চিকিৎসা, একাধিক যৌনসঙ্গী পরিহার, এ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপী পরিষেবা, লিঙ্গভিত্তিক প্রভেদ নিষিদ্ধকরণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৬৯২ জন গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করে। ২৫শে মে ২০২৪ ভুটান রাষ্ট্রের অন্তর্গত মনগার জেলার অধীন কামপাসাডং, নামলিং এবং ডুপাং গ্রামে এইট্স শণাক্তকরণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, এ.আর.টি. চিকিৎসা, এইট্স সংক্রামিত রক্ত বা রক্তজাত দ্রব্য গ্রহণ, প্রতিরোধ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৫৮৮ জন নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা অংশগ্রহণ নেয়। ২৬শে মে মহারাষ্ট্র রাজ্যের অন্তর্গত চন্দ্রপুর জেলার অধীন বিবেকনগর, কাঢলি এবং সূরগাঁও গ্রামে এইচ.আই.ভি. প্রতিরোধ, অবৈধ আন্তদেশীয় স্থানান্তকরণের শিকার মহিলা ও শিশু কন্যাদের সুরক্ষা, পূর্ণবাসন সহায়তা, সংক্রামিত সূচ, সিরিঞ্জ বা ধারালো যন্ত্রপাতি শোধন না করে পূনঃব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বর্জন, বিনামূল্যে চিকিৎসা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৭৬৯ জন মহিলা, কিশোরী এবং গ্রামবাসী অংশ নেয়। কর্মশালায় পাচারে শিকার বারবণিতাতে আশ্রিত নাবালিকাদের এই সুরক্ষা, চিকিৎসা, ম্যাসাজ পার্লার, বিউটি পার্লার, রিসর্ট, নাইট ক্লাব, টুরিস্ট লজে এইট্স সচেতনতা, অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনে নিরোধ ব্যবহার করার জন্য আহ্বান করা হয়। ২৭শে কেরালা রাজ্যের অন্তর্গত মালাপ্লুরাম জেলার অধীন তাভানূর, ভাট্টামকুলাম এবং ত্রিক্কানাপুরাম গ্রামে এস.টি.আই এবং এইস প্রতিরোধ, এইচ.আই.ভি. সংক্রামিত ব্যক্তির অঙ্গ নিজের দেহে প্রতিস্থাপন প্রতিরোধ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৪৮১জন গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করে। ২৮শে হরিয়ানা রাজ্যের অন্তর্গত রিয়ারী জেলার অধীন মালপুরা, বুদানা এবং ধামলাকা গ্রামে এস.টি.ভি. এবং এইট্স নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা, প্লেজমেন্ট এজেন্সীতে নিযুক্ত কিশোরীদের কাজের জন্য দেশান্তরী করা এবং তাদের সেক্স ট্রেডে শিকারের হাত থেকে উদ্ধার ও পূণর্বাসন সহায়তা, এইট্স এর শিকার বৃদ্ধা যৌনকর্মীদের কর্ম-নিশ্চয়তা, স্ব-নির্ভর প্রকল্পের প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৫৯৫ জন গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করে। ২৯শে মে ২০২৪ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্তর্গত কোচবিহার রাজ্যের অন্তর্গত মেঘপালা, গোবরাসারা এবং সিদ্ধেশ্বরী কোকিলাদেবী উচ্চ বিদ্যালয়ে এইচ.আই.ভি. এবং এইট্স প্রতিরোধ, মানব শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকা, ঘাড়ে, গলায়, কুঁচকিতে গ্লান্ড, বগলের নীচের গ্রন্থি সমূহে স্ফীতির দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় ৮২৭ জন গ্রামবাসী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কিশোর-কিশোরী অংশগ্রহণ করে। কর্মশালায় মিশনের মহাসচিব তথা ভারতীয় গোয়েন্দা এবং তদন্ত সংস্থার (আই.ডি.আই.ও) মুখ্য সচিব শ্রী দেবাশীষ ঘোষ বলেন যে, পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় উদ্বেগজনকভাব এইডসের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলকাতা শহরে ফ্লাইং সেক্স ওয়ার্কারদের নির্দিষ্ট কোন জায়গা নেই। ধর্মতলার চত্বরে যৌনকর্মীরা খদ্দেরদের নিয়ে উঠে। কখনো ভি.আই.পি রোডের বিগবাজারে কিংবা বসিরহাটের মাটিয়া, বনগাঁতে মতিগঞ্জ, কখনো মধ্যমগ্রামের বসুনগরে খদ্দেরদের এন্টারটেইন-এর নাম করে যৌন ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। এইসব মহিলারা প্রায় প্রত্যেকেই আসে শহরতলী কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে, হয় কারো স্বামীরা একাধিক মহিলা আসক্ত, নয়তো স্বামীরা মদ্যপ, নয় পঙ্গু, কিংবা অকর্মণ্য। আবার স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা কিংবা পাচার চক্রে ঢুকে পড়েছে যৌন ব্যবসায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং অসতর্কভাবে যৌন মিলনে আবদ্ধ হচ্ছে। ফলে এইট্স এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রশাসন এবং রাজ্যের প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যৌনকর্মী ও দালালদের সঙ্গে একটা বড় উৎকোচের বোঝাপড়া থাকে। ফলে উৎকোচের পরিমাণ কম হলে পুলিশ নাটকীয়ভাবে নিষিদ্ধপল্লী, হোটেল, ম্যাসাজ পার্লার, বিউটিপার্লার, রিসর্ট, নাইটক্লাব, টুরিস্ট লজে, যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দেরদের গ্রেপ্তার ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে থাকে। প্রশাসন কড়া হাতে লাগাম না ধরলে এইডস প্রতিরোধ সম্ভব নয়। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মিশনের মহাসচিব তথা ভারতীয় গোয়েন্দা এবং তদন্ত সংস্থার (আই.ডি.আই.ও) মুখ্য সচিব দেবাশীষ ঘোষ, মিশনের সভাপতি মলি বাগ্মী, ডাঃ সুকান্ত বিশ্বাস- মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, কোচবিহার, , রবি রঞ্জন-অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন, কোচবিহার, শ্রীমতী ডাঃ ডালাকী লামা- সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, তুফানগঞ্জ, কোচবিহার, ডাঃ ইন্দ্রনীল সিংহরায়, ডাঃ অনিমেষ গুপ্ত, শ্রী সুব্রত পাল, শ্রীমৎ স্বামী সুহিতানন্দ মহারাজ, শ্রীমৎ স্বামী ভজনানন্দ মহারাজ এবং শ্রীমৎ স্বামী নিত্যব্রতানন্দ মহারাজ প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct