নিজস্ব প্রতিবেদক, বহরমপুর, আপনজন: তথাকথিত পিছিয়ে পড়া জেলা মুর্শিদাবাদের শিশু থেকে যুবক ইংরেজি ভাষার পাঠ নিচ্ছে সাহসের সঙ্গে চন্দ্র কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটের হাত ধরে। কবি সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ অরূপ চন্দ্র’র উদ্যোগে ১৯৭৭ সালের স্থাপিত হওয়া এই ইনস্টিটিউট মুর্শিদাবাদ নদিয়া বীরভূম জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি কথ্য ভাষায় দক্ষ করে তুলছে এবং তাদের জীবনের পথে এগিয়ে দিচ্ছে বিগত ৪৭ বছর। রবিবার জেলার অন্যতম তিন মান্য শিক্ষাবিদ ও গবেষক সম্মাননীয় অধ্যাপক ড. আবুল হাসনত (সভার সভাপতি), অধ্যাপক মেজর দুলাল কুমার বসু (প্রধান অতিথি) ও ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক খাজিম আহমেদ (বিশেষ অতিথি) মহাশয়ত্রয়ের মঞ্চে উপস্থিতিতে জেলার দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ইংরেজি ভাষার দলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করলেন। উদ্বোধনী সংগীত হিসেবে কচিকাঁচারা গাইলেন ‘উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা’ ও ‘Una Paloma Blanka’ এই দুই মহান গানের দ্বিভাষিক যৌথ প্রযোজনা। পরিচালনা করেন শিক্ষিকা ওফেলিয়া চন্দ্র দত্ত।স্বাগত ভাষণে অধ্যক্ষ অরূপ চন্দ্র জানালেন কি ভাবে এই স্কুল প্রতিনিয়ত তথাকথিত ‘পিছিয়ে পড়া জেলা’ মুর্শিদাবাদের ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করে তুলে জীবনের পথে নতুন নতুন সাফল্য অর্জনে সাহায্য করে চলেছে।
এই মঞ্চ থেকে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্ভাব্য প্রথম স্থান অধিকারী অনিক ওঝা ও ২০২৪ উচ্চমাধ্যমিকে মুর্শিদাবাদ জেলায় মেয়েদের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থান অধিকারিণী আদৃতা দাস বিশ্বাস যারা এই স্কুলের দীর্ঘদিনের ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন তাঁদের সংবর্ধিত করা হয়। গ্রুপ ডিসকাশন প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসন অলংকৃত করেছেন জেলার চার বিশিষ্ট শিক্ষক শিক্ষিকা তন্ময় সরকার, পারমিতা চৌধুরী, অর্পিতা গোস্বামী ও শুভাশিস চন্দ।এছাড়াও এই মঞ্চে আজ সংবর্ধিত হন শিক্ষিকা ও সুগায়িকা পাপিয়া বসাক, শিক্ষিকা শিউলি সাহা, শিক্ষিকা ঈশিতা সেনগুপ্ত, কবি ও লেখিকা হৈমন্তী বন্দোপাধ্যায়, কবি ও আবৃত্তিকার শ্রীমন্ত ভদ্র, সুগায়ক ও সংগীত শিক্ষক অভিরূপ বিশ্বাস। দলগত আলোচনার বিষয়গুলিও ছিল চমকপ্রদ - যেমন ‘কৃষকই আমাদের অন্নদাতা’, ‘পরিবেশ বাঁচানোর উপায়’, ‘ভবিষ্যৎ পেশা সম্পর্কে সচেতনতা’, ‘বাঙালি জাতির সংস্কৃতি’, ‘বাংলার মহান মহিলাগন’, ‘বাংলার বিখ্যাত অভিযাত্রীগণ’, ‘স্কুলে ক্রীড়ার প্রয়োজনীয়তা’ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় যা ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞানলোকের দরজা খুলতে সাহায্য করবে। সভার শেষে সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হাসনত, বিশেষ অতিথি ইতিহাসবিদ ও প্রাবন্ধিক খাজিম আহমেদ ও প্রধান অতিথি অধ্যাপক ও গবেষক দুলাল কুমার বসু দ্যর্থহীন ভাষায় বলেন --- জেলার সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ইংরেজি ভাষা শেখার মাধ্যমে বৃহত্তর পৃথিবীর পথ সুগম করে তুলতে চন্দ্র কমার্শিয়াল যে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তা প্রশংসনীয়। তাঁরা এও বলেন প্রায় সোয়া চার ঘন্টার এই প্রতিযোগিতা নিয়মানুবর্তিতা ও অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে যেভাবে সমাপন হল তা উদাহরণযোগ্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct