আমীরুল ইসলাম, বোলপুর, আপনজন: মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে ও অংশীদারিত্বে প্রস্তাবিত “শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরী” তে গড়ে উঠবে বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও পরিষেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এই বিশাল কর্মকাণ্ডে ফেসিলেটর হিসাবে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কাজ করবে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এবং গোবিন্দপুর শেফালী সমাজ সেবা সমিতি, স্বাধীন ট্রাষ্ট, স্বতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও আরো বেশ কিছু সংস্থার প্রচেষ্টায় ২০২৭ এর মধ্যেই “শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরী” রূপ পাবে। শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরীর উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও রূপায়নে মহিলাদের কি ভূমিকা হবে এ নিয়েই রবিবার বিকালে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সভাপতি মলয় পীট বলেন যে, সামাজিক ও মানব সম্পদের উন্নয়নের জন্য আমরা ২০২৭ সালের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ করতে বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যেই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, নার্সিং কলেজ, প্যারামেডিকেল কলেজ, ফার্মেসী কলেজ, আইটিআই, পলিটেকনিক, বি.এড, ডি.এল.এড কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এখানে আয়ুর্বেদিক কলেজও গড়ে তোলা হবে। সেভাবেই এখানে KG থেকে PG বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। বিভিন্ন উন্নয়ন মুখী বিভিন্ন কর্মসূচির সফল রূপায়ণ করে সাধারণ মানুষকে তার সুফল পৌঁছে দিয়ে মানব সম্পদের বিকাশ ঘটানো হবে। এই আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য উপনগরীর অংশ হিসাবে এখানে একটি অত্যাধুনিক স্পোর্টস একাডেমী, কালচারাল একাডেমী সহ বিভিন্ন রিক্রিয়েশন ক্লাব, বাসস্থান বা আবাসন তৈরী করা হবে। এই প্রকল্প শুরুর দিন থেকেই কর্ম সংস্থানের বিপুল সুযোগ তৈরী হবে। যার সুফল লাভ করবেন সমাজের সকল শ্রেনীর মানুষ। প্রস্তাবিত এই শান্তিনিকেতন স্বাস্থ্য উপনগরী সফল রূপায়ণ রাজ্যের স্বাস্থ্য - শিক্ষা - আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের সোপান হয়ে উঠবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct