তানজিমা পারভিন, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দীর্ঘ আড়াই মাস জল না পেয়ে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে জলের দাবিতে ছাতা মাথায় কাঁখে কলসি হাতে বালতি নিয়ে এলাকার মহিলারা সরকারি জল প্রকল্পে ঝোলালেন তালা। ঘটনাটি শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুর বিবেকানন্দ পল্লী এলাকার।জানা যায় শান্তিপুর গোবিন্দপুর বিবেকানন্দ পল্লী এলাকাতে রয়েছে সরকারি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অধীনের গোবিন্দপুর জল প্রকল্প। তবে এখানে জল প্রকল্প থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রায় দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে তারা পানীয় জল সরবরাহ পাচ্ছেন না। এর আগে জল প্রকল্প উদ্বোধনের সময় স্থানীয় পঞ্চায়েত কে পুরস্কৃত করেছিলেন এলাকাবাসীরা তবে সেই এলাকাতেই বর্তমানে প্রত্যেক বাড়িতে কল থাকলেও তার থেকে আসছে না পানীয় জল,আর সেই কারণেই মূলত পানীয় জলের দাবিতে জল প্রকল্পের কাছে একত্রিত হয়ে জল প্রকল্পের তালা মারল স্থানীয় কঙ্কা পাল বলেন, দীর্ঘদিন জলের সমস্যা হচ্ছে দ্রুত কর্তৃপক্ষ এই সমস্যার সমাধান করুক এবং নিয়মিত তারা যেন পানীয় জলের পরিষেবা পান।
বাবলা পঞ্চায়েত প্রধান সুস্মিতা মুন্ডা জানান, প্রধানমন্ত্রীর হরঘর জল যে প্রকল্পটা আছে, সেটার জন্য প্রধানমন্ত্রী ওটার জন্য ওখান থেকে টাকা ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু সেই টাকাটা মানুষের কাজে পর্যন্ত আসতে পারছে না। কারণ এখানে তোলাবাজি হয়। তৃণমূলের তোলাবাজি। আমার এখানেও অনেক বাড়িতে জল পৌঁছেছে না সেই ব্যাপারে আমি বিডিও কে জানিয়েছিলাম। তারা বলেছে একটা মোটা পাইপ যায়নি ওটা গেলে পরেই জল পৌঁছাবে। আমি এটা নিয়েও তদন্ত করছি। আগে টিএমসি প্রধান ছিল কি করেছে কি করেনি আমার জানা নেই। এখন আমি দায়িত্বে আছি আমি চেষ্টা করব যাতে বাড়িতে মানুষের জলটা পৌঁছায়। অপরদিকে তৃণমূলের সদস্যা পম্পা পাল জানান, এই জলের সমস্যা বহুদিন ধরে চলছে। এই পাম্প থেকেই জলটা যাচ্ছে মূল ট্যাংকিতে। আমাদের এখান থেকেই জল যাচ্ছে অথচ আমার এলাকার লোকই জল পাচ্ছে না। এবার আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে যতদূর চেষ্টা করার আমি করেছি। কিন্তু পাবলিক তো সেটা বুঝবে না। আমাদের কথা শুনতে হচ্ছে যে জল পাচ্ছে না।আমরা চেষ্টা করছি যাতে মানুষ জল পায়। বিডিও সব জায়গায় কথা বলেছি কিন্তু কোনরকম কাজ হয়নি। তাও আমরা চেষ্টা করছি কারণ জলটা সবারই দরকার। বাবলা পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান চন্দন সরকার বলেন,জল প্রকল্পের তারা মারার বিষয়টা আমি জানা ছিল না এবার হয়তো কিছুদিন ধরে জলের একটা ডিস্টার্ব হচ্ছে। হচ্ছে না বলা যাবেনা। শুধু একটা জায়গায় নয় বাবলা অঞ্চল জুড়েই হচ্ছে। এটা সামান্য প্রবলেম, তাড়াতাড়ি মিটে যাবে আমরা এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এর আগেও জানিয়েছি। আমরা আবারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct