আপনজন ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস ১৯৯৪ সালের পর প্রথম বারের মতো নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে। গত বুধবার (২৯ মে) দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়েছে জনগণ। নির্বাচন পরবর্তী জরিপের তথ্যমতে, নির্বাচনে বৃহত্তম দল হিসেবে বিজয়ী হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে যাচ্ছে এএনসি। মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভোট গণনা করা হয়েছে। তার মধ্যে এএনসি ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার ওপরে রয়েছে। কিন্তু সরকার গঠন করতে হলে তাকে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে বা ২০১ টি আসনে জয় লাভ করতে হবে। অথবা অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট করতে হবে।যদিও নির্বাচন কমিশন রবিবার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে এএনসি ইতিমধ্যে সম্ভাব্য জোট অংশীদারদের সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেছে বলে আল জাজিরা প্রতিবেদনে জানা যায়।এএনসির মানতাশে বলেছেন, দল এই ফলাফলের জন্য কোনো পরিকল্পনা করেনি। জোট একটি অপ্রত্যাশিত বিষয়, আপনি তো অপ্রত্যাশিত বিষয়ের জন্য পরিকল্পনা করবেন না। তবে তিনি এমকে পার্টির সঙ্গে জোট করার কথা অস্বীকার করেছিলেন।অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে এএনসি আলোচনা করবে কিনা তা জিঙ্গেস করলে তিনি বলেন, চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করবেন। আইন অনুসারে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ১৪ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হয়। আমাদের হাতে সময় রয়েছে।এমপোফু ওয়ালশ বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনৈতিক ভূখণ্ড “কোলাহলপূর্ণ ও অস্থিতিশীল” হবে বলে মনে হচ্ছে। তবে এএনসির সমর্থন হ্রাসের সম্পূর্ণ পরিণতি ফলাফলের পরে দেখা যাবে। সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমকে ও এএনসির মধ্যে একটি জোট হতে পারে। কিন্তু দুই দলের মধ্যে সম্পর্কের ফাটলের কারণে এটি অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। এর পরিবর্তে এএনসি, ডিএ ও আইএফপিকে জোটের প্রস্তাব দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।দক্ষিণ আফ্রিকার মেইল অ্যান্ড গার্ডিয়ান পত্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল সংবাদদাতা, প্যাডি হার্পার বলেছেন, ‘ইএফএফ ও এমকেকে সরকারের বাইরে রাখার জন্য ডিএ ও আইএফপিকে তাদের বিকল্প হিসেবে রাখতে পারে এএনসি।’এই নির্বাচনে ডিএর সমর্থন বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দলটি শ্বেতাঙ্গ লোকদের ভোট ফিরে পেয়েছে। যারা গত নির্বাচনে একটি দলকে তার ডানদিকে সমর্থন করেছিল। এছাড়া কিছু কৃষ্ণাঙ্গ মনে করেছিল যে জাতীয় সরকারে ডিএকে সুযোগ দেওয়া দরকার বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এএনসির অন্য বিকল্প হতে পারে জাতীয় সরকারে ইএফএফের সঙ্গে জোট গঠন করার চেষ্টা করা। মিস্টার মাশাটাইলের সমর্থিত গাউতেংয়ের এএনসি নেতারা ইএফএফের সাথে জোটবদ্ধ হওয়া পছন্দ করেন বলে জানা গেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct