আপনজন ডেস্ক: ২০১১ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জিতেছিল উরুগুয়ে। চ্যাম্পিয়ন সেই দলের সদস্য ছিলেন এদিনসন কাভানি। আরেকটি কোপা আমেরিকা যখন দোরগোড়ায়, তখন উরুগুয়েকেই বিদায় জানিয়ে দিলেন ৩৭ বছর বয়সী এই সেন্টার ফরোয়ার্ড। কাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন কাভানি। সেই বিবৃতি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘উরুগুয়ে দলের সঙ্গে ভ্রমণটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’ আর বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আজ (কাল) আমি উরুগুয়ে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সব সময় প্রিয় দলকে অনুসরণ করব, তখনো আমার হৃদয় কাঁপবে। এই সুন্দর জার্সিটি পরে মাঠে নামার সময় যেমন হতো।’ ইউরোপের পাট চুকিয়ে গত জুলাইয়ে আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে নাম লেখান কাভানি। প্রয়াত কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও বোকা জুনিয়র্সে তিন মৌসুম খেলেছেন। ক্লাবটির সঙ্গে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি আছে কাভানির।জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ক্লাব ফুটবলেই যে পুরোপুরি মনোনিবেশ করবেন, সেটারও ইঙ্গিত দিয়েছেন কাভানি, ‘নিঃসন্দেহে (উরুগুয়ে দলের সঙ্গে কাটানো) সেই বছরগুলো অনেক মূল্যবান ছিল। আমার বলার ও মনে রাখার মতো হাজার হাজার জিনিস থাকবে। তবে আজ (কাল) ক্যারিয়ারের নতুন পর্যায়ে নিজেকে সঁপে দিতে চাই এবং যেখানে আমাকে থাকতে হবে, সেখানেই সব উজাড় করে দিতে চাই।’মাঠে কাভানির মেজাজ থাকে ‘খ্যাপাটে ষাঁড়ের মতো’। তবে ‘এল ম্যাটাডোর’ (দ্য বুলফাইটার) ডাকনাম জুটে যায় নিয়মিত গোল করতে পারার সামর্থ্যের কারণে। অবসর ঘোষণার পোস্টে ফিফা সেই নামেই তাঁকে সম্বোধন করে ধন্যবাদ জানিয়েছে। ২০০৮ সালে উরুগুয়ের হয়ে অভিষেক হয় কাভানির। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৬ ম্যাচ (সর্বোচ্চ ১৬১ ম্যাচ দিয়েগো গদিনের)। ৫৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকাতেও কাভানির অবস্থান দুইয়ে। তাঁর ওপরে আছেন শুধু লুইস সুয়ারেজ (৬৮ গোল)। কাভানি সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ১৭টি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct